হাবিবুর রহমান এমপিকে নাগরিক সংবর্ধনা ॥ উন্নয়নের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে – দানবীর ড. রাগীব আলী

10
সদর দক্ষিণ নাগরিক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবকে ক্রেষ্ট প্রদান করছেন কমিটির নেতৃবৃন্দ।

দৈনিক সিলেটের ডাক এর সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি, লিডিং ইউনির্ভাসিটি সহ বহু প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, দানবীর ড. রাগীব আলী বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশব্যাপী উন্নয়নের অংশ হিসেবে দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হলে দল, মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দক্ষিণ সুরমা একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা। এই এলাকায় অনেক রাজনীতিবিদ ও গুণীজনের জন্ম হয়েছে। তাদের রেখে যাওয়া এই অঞ্চলের উন্নয়নে সবাইকে হাবিবুর রহমান হাবিব এমপিকে সহযোগিতা করতে হবে। এমপি হাবিব একজন উদীয়মান ব্যক্তি। তিনি শ্রম ও মেধা দিয়ে দক্ষিণ সুরমাকে একটি আলোকিত উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবেন। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে প্রশংসা পাচ্ছে। বহিবিশ্বে বাংলাদেশীদের এখন আর ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। আমরা উন্নত রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে বিশ্বে স্থান করে নিয়েছি।
ড. রাগীব আলী ৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্ধায় দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোডস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে সদর দক্ষিণ নাগরিক কমিটি, সিলেটের উদ্যোগে সিলেট-৩ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব কে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, কামালবাজারে রাগীব আলী পরিবারের প্রতিষ্ঠান হাজী রাশিদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আমি লেখাপড়া করেছি। এই প্রতিষ্ঠানটি থাকার কারণে তৎকালিন সময়ে আমিসহ গোটা এলাকার শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার করার সুযোগ পেয়েছেন। লেখাপড়ার কারণে আমি আজ এমপি হিসেবে আপনাদের সামনে দাঁড়াতে পেরেছি। শুধু তাই নয়, ড. রাগীব আলীর দুরদর্শী চিন্তা-চেতনার ফসল হিসেবে কামালবাজার এলাকায় লিডিং ইউনির্ভাসিটি ও রাগীব-রাবেয়া কলেজ, ক্রীড়া কমপ্লেক্সসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান স্থাপন হওয়ায় এই এলাকাটি অনেকটা শহরে রূপান্তরিত হয়েছে।
আপনারা যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে মহান সংসদে আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দিয়েছেন। তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ সুরমাকে আন্তরিকভাবে ভালবাসেন। তারই আন্তরিকতায় দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট স্থাপন করা হচ্ছে। দক্ষিণ সুরমায় ইকো পার্কসহ, দুটি স্টেডিয়াম, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জে পৃথক পৃথক দুটি স্টেডিয়াম ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ক্বীনব্রীজের পাশে একটি ঝুলন্ত সেতু অথবা নদীর নিচ দিয়ে একটি টানেল নির্মাণের জন্য আমি মহান সংসদে দাবী জানিয়েছি। এটি নির্মাণ হলে দক্ষিণ সুরমার যানজট নিরসন হবে এবং উত্তর সুরমার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি হবে।
সদর দক্ষিণ নাগরিক কমিটি সিলেটের সভাপতি, মোল্লারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মোঃ মকন মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সিটি কাউন্সিলার আজম খান এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট রফিকুল হক ও হাজী কামাল উদ্দিন, সদর দক্ষিণ নাগরিক কমিটি সিলেটের সহ-সভাপতি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মকবুল হোসেন মাখন, গোলাম হাফিজ লোহিত, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সাইফুল আলম, বরইকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাবিব হোসেন ও চঞ্চল মাহমুদ ফুলর।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুসিক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ, পরিবহন মালিক সমিতির অন্যতম নেতা ইরন মিয়া, লেইছ সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুল ওয়াহিদ, সদর দক্ষিণ নাগরিক কমিটি সিলেটের সহ সাধারন সম্পাদক গোলাম হাদী ছয়ফুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল আহাদ, আব্দুল মালেক তালুকদার, হাজী ফরিদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর খান, শেখ লায়েক মিয়া, ভারপ্রাপ্ত অর্থ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সুমন, দপ্তর সম্পাদক ছয়েফ খান, প্রচার সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন রানা, ত্রাণ সম্পাদক নজরুল হোসেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী কমিউনিটি নেতা ডাঃ শেখ মনসুর রহমান, রোটারিয়ান রাসেল মাহবুব, যুক্তরাজ্য প্রবাসী কমিউনিটি নেতা রফিকুল ইসলাম মামুন, সিনিয়র সদস্য সেলিম আহমদ সেমিম, আনোয়ার হোসেন জুবায়ের, আকবর আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহ ইমাদ উদ্দিন নাসিরী। বিজ্ঞপ্তি