দক্ষিণ সুরমায় নির্বাচনের দিন মারামারির ঘটনায় আহত যুবক মারা গেছে

1

স্টাফ রিপোর্টার :
চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ৬ষ্ঠ ধাপে গত ৩১ জানুয়ারি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কামালবাজার ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেদিন ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় কামালবাজার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ সময় মারুফ আহমদ নামের এক যুবক গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেলে শনিবার ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজধানীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মারুফের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদার।
জানা যায়, গত ৩১ জানুয়ারি কামালবাজার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে মো. ছোয়াব আলী ফুটবল প্রতীকে নির্বাচন করে ১১২ ভোট পান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমির আলী তালা প্রতীকে সমান সংখ্যক ভোট পান। সন্ধ্যার দিকে দু প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমির আলী পক্ষ মো. ছোয়াব আলীর সমর্থকদের উপর হামলা করে। এ সময় দুপক্ষের সংঘর্ষ হয় এবং আমির আলীর সমর্থকদের মারধরে ছোয়াব আলীর পুত্র মারুফ আহমদসহ ৫/৬ জন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত মারুফ আহমদকে প্রথমে সিলেটের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ৪দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মারুফ।
এদিকে, এ ঘটনায় ১ ফেব্রুয়ারি মো. ছোয়াব আলী বাদি হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় এ পর্যন্ত ৩ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি কামরুল হাসান তালুকদার। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, হাফেজ আকবর আলীর পুত্র সুফি আহমদ (২৬), তার ভাই মাহমুদুল হাসান রাজু (৩০) ও মো. মাহমদ আলীর পুত্র ফয়জুল হক (২৮)।