ডেল্টা-বিটার চেয়ে তিনগুণ বেশি সংক্রমণ ঘটাতে পারে ওমিক্রন

3

কাজিরবাজার ডেস্ক :
দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা বৃহস্পতিবার প্রাথমিক এক সমীক্ষায় বলেছেন, করোনার ওমিক্রন ধরন ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিনগুণের বেশি পুনর্সংক্রমণ ঘটাতে পারে। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা থেকে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত এবং প্রথম মহামারী সংক্রান্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে পূর্বের সংক্রমণ থেকে ইমিউনিটি এড়াতে ওমিক্রনের সক্ষমতা যাচাই করে এই ফলাফল পাওয়া যায়। এই গবেষণা প্রতিবেদন রিভিউয়ের আগে মেডিক্যাল সার্ভারে আপলোড করা হয়েছে। তবে এখনও গবেষণার পর্যালোচনা সম্পন্ন হয়নি।
২৭ নবেম্বর পর্যন্ত আক্রান্ত ২৮ লাখ লোকের মধ্যে ৩৫ হাজার ৬৭০ জন পুনর্সংক্রমিত হয়েছেন। ৯০ দিনের ব্যবধানে আক্রান্ত হলে সেগুলোকে পুনরায় সংক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার ডিএসআই-এনআরএফ সেন্টার অব এক্সিলেন্স ইন এপিডোমিওলজিক্যাল মডেলিং এ্যান্ড এনালাইসিস পরিচালক জুলিয়েট পুলিয়াম এক টুইটে বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক পুনর্সংক্রমণ এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ঘটেছে যাদের প্রাথমিক সংক্রমণ পূর্ববর্তী তিনটি করোনা ঢেউ জুড়ে ঘটেছে। এদের মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিতরা বেশি পুনর্আক্রান্ত হয়েছে।’ তিনি বলেন, যাদের পূর্ব সংক্রমণের ইতিহাস রয়েছে এবং ওমিক্রন সংক্রমণের তীব্রতার সঙ্গে সম্পর্কিত তাদের ডাটা জরুরীভাবে প্রয়োজন। এদিকে ওমিক্রন নিয়ে অতিমাত্রায় আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন- এ ভাইরাস সম্পর্কে প্রথম সতর্ককারী চিকিৎসক এ্যাঞ্জেলিক কোয়েৎজি। এই নারী চিকিৎসক বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এক সাক্ষাতকারে এ্যাঞ্জেলিক কোয়েৎজি বলেন, করোনার ভারতীয় ধরন বা ডেল্টা ও ওমিক্রনে আক্রান্তদের উপসর্গ এক নয়। তার মতে, ওমিক্রনে আক্রান্তদের ক্লান্তি, মাথা ও শরীর ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে গলাব্যথা ও কাশিও হতে পারে। এই ধরনের সঙ্গে ডেল্টার তুলনা করে তিনি বলেন, ডেল্টার ক্ষেত্রে হৃদস্পন্দন ও অক্সিজেনের মাত্রা কমে আসার মতো উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। ডেল্টা আক্রান্তদের স্বাদ ও গন্ধ নেয়ার ক্ষমতাও কমে গিয়েছিল। তবে ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে এসব লক্ষণ দেখা যায়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার পিট্রোরিয়া শহর বর্তমানে ওমিক্রনে আক্রান্তদের কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। শহরটির কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একাধিক ওমিক্রন আক্রান্তের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছেন এ্যাঞ্জেলিক কোয়েৎজি। ১৮ নবেম্বর একটি নতুন করোনাভাইরাস সম্পর্কে প্রথম ধারণা দেন এই চিকিৎসক। এর এক সপ্তাহ পর ওমিক্রন ভাইরাসের বিষয়টি বিশ্ববাসীর সামনে আসে।