সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের ৬০তম বিবাহ বাষিকী উদযাপন

3

কাজিরবাজার ডেস্ক :
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং সৈয়দা সাবিয়া মুহিতের ষাটতম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
শুক্রবার ১৯ নভেম্বর তাঁর বাসভবনে কেক কেটে বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তাঁর বোন জাতীয় অধ্যাপক ড. শাহলা খাতুন, রিও আজিজা ও তার স্বামী। ভাই এএসএ মুইজ, ড. এ.কে. আব্দুল মুবিন ও তাঁর স্ত্রী, কন্যা প্রফেসর সামিয়া মুবিন, পুত্র ও পুত্রের স্ত্রী এবং নাতি-নাতনি, ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন এবং তাদের চাচাতো ভাই আব্দুল আলিম, ভাতিজি এবং তাদের স্বামীরা।
অনুষ্ঠানে বেশিরভাগ সদস্যই ছিলেন পরিবারের সদস্য। তবে কেক কাটার সময় আওয়ামী লীগ নেতা ড. নূহ-ই-আলম লেনিন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান, বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সীমান্তিকের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ড. আহমদ আল-কবির।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের শারীরিক অবস্থা ভালো। করোনার মুক্ত হবার পর তিনি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। আস্তে আস্তে স্বাভাাবিক হয়ে উঠেছেন।
দেশের এই কৃতি সন্তান আবুল মাল আবদুল মুহিতের স্ত্রী সৈয়দা সাবিয়া মুহিত একজন ডিজাইনার। তাদের সংসারে দুই পুত্র এবং এক কন্যা রয়েছে। সামিয়া মুহিত একজন ব্যাংকার এবং মুদ্রা নীতি খাতের একজন বিশেষজ্ঞ। তাদের জ্যেষ্ঠ পুত্র শাহেদ মুহিত একজন বাস্তুকলাবিদ এবং কনিষ্ঠ পুত্র সামির মুহিত একজন শিক্ষক।
আবুল মাল আবদুল মুহিতের অন্যতম পরিচয় হচ্ছে তিনি একজন লেখকও বটে। স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ ‘স্মৃতি অম্লান ১৯৭১’-সহ এ পর্যন্ত তিনি ২১টি পুস্তক রচনা করেছেন। পুস্তকগুলোর বিষয়বস্তু মূলতঃ প্রশাসন এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কীয়। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে মুহিতকে তমঘা ই খিদমত পদকে ভূষিত করে। ১৯৮৪ এবং ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে আবদুল মুহিত প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং ফেলো হিসেবে ছিলেন।
তিনি বাংলাদেশে পরিবেশ আন্দোলন গড়ে তোলেন। বাপা’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি। পরিকল্পনাবিহীন অবস্থায় নগরায়ণ বন্ধ ও পরিবেশ রক্ষা করা, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার স্থানান্তরকরণ, বিনোদন পার্ক সৃষ্টিতে তার ভূমিকা রয়েছে।