কানাঘাটে ফারুক হত্যা মামলায় এক আসামির ফাঁসি

4
কানাইঘাটের ফারুক হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি ও একজন বেকসুর খালাস।

স্টাফ রিপোর্টার :
কানাইঘাটে সালিশ ব্যক্তিত্ব ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় ফখরুল ইসলাম নামে এক আসামির মৃত্যুদন্ড (ফাঁসি) প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি রায়ে আসামিকে আরও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। মামলায় জামিনে থাকা অপর আব্দুস সাত্তারকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার ১৭ নভেম্বর সিলেট জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ফখরুল ইসলাম সিলেটের কানাইঘাট আটফৌদ পূর্ব গ্রামের মৃত জুয়াহির আলীর পুত্র। আদালতের বিচারক তার উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া খালাস পাওয়া আব্দুছ ছাত্তার একই গ্রামের মোবারক আলীর পুত্র। তিনি আগে থেকেই জামিনে ছিলেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারি মো. সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টায় ভূমির নিস্পত্তি করতে আসামিদের পাড়ির পাশে সুরই নদীর ডাইকে সালিশে যান কানাইঘাটের কালিনগর গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে ফারুক আহমদ (৫০)। সালিশ চলাকালে সাক্ষি ফরিদ আহমদের উপর হামলার চেষ্টা করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এমন সময় ফখরুল ইসলাম কোমর থেকে চাকু বের করে ফরিদকে আঘাত করার চেষ্টা করেন। তাকে আটকাতে চেষ্টা করেন ফারুক আহমদ। কিন্তু ফখরুল ইসলাম উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সালিশ ব্যক্তিত্ব ফারুক আহমদের গলায় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করে। উপস্থিত লোকজন ঘাতক ফখরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশে সোপর্দ করলেও অপর আসামিরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মুহিবুর রহমান বাদি হয়ে ৪ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করে কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কানাইঘাট থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) স্বপন চন্দ্র ওই বছরের ২১ অক্টোবর ২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট-নং ১৫৬) দাখিল করেন আদালতে। মামলাটি অত্র আদালতে বিচারের জন্য প্রেরণ করা হলে দায়রা-৯৫৫/১৯ মূলে রেকর্ডের পর চার্জগঠন করে বিচার প্রক্রিয়ায় ২১ সাক্ষির মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আদালতের পিপি এডভোকেট আব্দুল মজিদ ও এডভোকেট রনজিত সরকার এবং বাদি পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আব্দুর রহিম।