সংসদে ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী ॥ ইচ্ছা থাকলেই উন্নয়ন করা যায় আমরা তা প্রমাণ করেছি

11
প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা ইউনেস্কোর ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ শীর্ষক পুরস্কার প্রবর্তন করায় সংসদ অধিবেশনে আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর বিশেষ আলোচনায় বক্তব্য রাখেন।

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন দেশের সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত তার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, ইচ্ছা থাকলেই যে দেশের উন্নয়ন করা যায় আমরা তা প্রমাণ করেছি। এখন আমরা আর পিছিয়ে নেই। এক দশকের ভেতরে বাংলাদেশের পরিবর্তন সারাবিশ্বে একটা মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশের কাউকে বাইরে গিয়ে কথা শুনতে হয় না।
করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন করে অন্য দেশকে দেয়ার সক্ষমতাও বাংলাদেশের আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নিজেরা ভ্যাকসিন তৈরি করতে চাই। ভ্যাকসিন তৈরির যে বাধাগুলো আছে, সেগুলো আপনাদের (উন্নত দেশগুলোকে) সরিয়ে দিতে হবে, উন্মুক্ত করতে হবে। এটা জনগণের প্রাপ্য, তাদের সম্পদ হিসেবেই দিতে হবে, সারাবিশ্বের কোন মানুষ যেন ভ্যাকসিন থেকে দূরে না থাকে। আমাদের সুযোগ দিলে আমরা উৎপাদন করব। আমরা বিশ্বে দিতে পারব, সে সক্ষমতা আমাদের আছে। টিকা উৎপাদনের ল্যাব তৈরির জন্য জমিও নিয়ে রেখেছি, এভাবে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আজকে করোনা মোকাবেলায় আমাদের যে সাফল্য, তা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে, আমি এটাও বলে এসেছি।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইস ফর ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ শীর্ষক পুরস্কার প্রবর্তন করায় বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা- ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তার সরকার প্রদত্ত সুযোগ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে একদিন বাংলাদেশেরও কোন উদ্যোক্তা বঙ্গবন্ধুর নামে ইউনেস্কোর চালু করা ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইস ফর ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ পুরস্কার পাবে। স্টার্টআপ প্রোগ্রামের যে সুযোগ সরকার দিয়েছে, সে সুযোগটা নিয়ে আমাদের যুব সমাজ তাদের মেধা ও মনন বিকাশের সুযোগ পাক এবং তারা এগিয়ে আসুক।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ কার্যপ্রণালি বিধির ১৪৭ বিধিতে সাধারণ আলোচনার জন্য এই প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপন করেন। প্রস্তাবে বলা হয়, ‘জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনার মাধ্যমে ইউনেস্কোকে বাংলাদেশের সকল জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানানো হোক।’
সাধারণ আলোচনা শেষে স্পীকার প্রস্তাবটি সংসদে ভোটে দিলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে জাতিসংঘের কোন অঙ্গসংস্থার প্রবর্তন করা এটি প্রথম কোন আন্তর্জাতিক পুরস্কার। প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়িয়ে দেশের জনগণের পক্ষ থেকে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলের উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, সাবেক প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সিনিয়র সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, কাজী নাবিল আহমেদ, ওয়াসিকা আয়শা খান, বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা, ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী, পীর ফজলুর রহমান ও বিএনপির হারুনুর রশীদ। সূচনা বক্তব্য রাখেন প্রস্তাব উত্থাপনকারী সাবেক চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রস্তাবে গত বছর ডিসেম্বরে ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের শরৎকালীন ২১০তম অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে বঙ্গবন্ধুর নামে আন্তর্জাতিক এই পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন অঙ্গনে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আর্থিক সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করে থাকে ইউনেস্কো।
গত বৃহস্পতিবার প্যারিসে প্রথমবারের মতো ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইস ই দ্য ফিল্ড অব ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ পুরস্কার দেয়া হয়। আন্তর্জাতিক জুড়ি বোর্ডের বিচারের উগান্ডার ‘মোটিভ ক্রিয়েশন’ নামে একটি সংগঠন এই পুরস্কার পেয়েছে। প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দফতরে জাতির পিতার জীবিত দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিজয়ীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়ার দুর্লভ সুযোগ লাভ করেন। পুরস্কার দেয়া হবে প্রতি দুই বছরে একবার, যার আর্থিক মূল্য ৫০ হাজার ডলার। বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা পুরস্কার বিজয়ী মোটিভ ক্রিয়েশনকে ফুল দিয়েও শুভেচ্ছা জানান।
সংসদে ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর নামে পুরস্কার প্রবর্তন করায় ইউনেস্কোকে দেশের জনগণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি। এই সময় জাতিসংঘের ইউনেস্কো কর্তৃক জাতির পিতার নামে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে জাতি হিসেবে আমাদের গৌরবের, বাংলাদেশের জনগণের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে দেশকে এগিয়ে যাচ্ছি, সারাবিশ্বে বাংলাদেশ এখন মর্যাদা ও সম্মানের স্থানে উঠে এসেছে।
সাধারণ আলোচনায় স্বাধীনতার পর দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে জাতির পিতার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে বিধ্বস্ত একটি দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন। এত অল্প সময়ে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের স্বীকৃতি আদায়ের ঘটনা পৃথিবীতে বিরল। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু যখন দ্বিতীয় বিপ্লবের কাজ শুরু করলেন তখনই তাকে সপরিবারে হত্যা করা হলো। শুধু একজন রাষ্ট্রপতিকে নয়, পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয় যাতে বাংলাদেশ কখনও বিজয়ী জাতি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, বাঙালী জাতির বিজয় যেন ব্যর্থে পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চলেছে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী ক্যু-পাল্টা ক্যু, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের ঘটনা তুলে ধরে বলেন, ’৭৫ এর পর আমরা কী দেখেছি? ১৯টা ক্যু হয়েছে। হাজার হাজার সেনাবাহিনীর অফিসার ও সৈনিক, বিমান বাহিনীর অফিসার ও সৈনিক এবং সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। কারাগারে ফেলে রাখা হয়েছে, নির্যাতন চলেছে। গুলি-অস্ত্র, দুর্নীতি- এটাই ছিল জননীতি। এর বাইরে একটা দেশকে যে উন্নত করা যায়, সেদিকে কোন আন্তরিকতাই আমরা দেখিনি। কিন্তু ইচ্ছা থাকলে একটি দেশের যে উন্নয়ন করা যায়, আমরা তা প্রমাণ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে আসার পর কী দেখেছি? বিজ্ঞান পড়েই না মানুষ। এই অবস্থা! বিজ্ঞানের প্রতি কোন আগ্রহ নেই। গবেষণা তো ছিলই না। কোন বিশেষ বরাদ্দও ছিল না। আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ শুরু করি। সারাদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলি যাতে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান শিক্ষায় আগ্রহী হয়।’
১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কম্পিউটারের ওপর সব ধরনের ট্যাক্স উঠিয়ে দেই, যাতে সবাই এটা শিখতে পারে। এখন সবার হাতে হাতে মোবাইল, প্রযুক্তি। এখন আমরা পিছিয়ে নেই। আমি ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশের জনগণকে। তারা বারবার আমায় ভোট দিয়েছে। সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। এক দশকের ভেতরে বাংলাদেশের পরিবর্তন সারাবিশ্বে একটা মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশের কাউকে বাইরে গিয়ে কথা শুনতে হয় না।
সংসদ নেতা বলেন, ভাল কাজ অনেকের চোখে পড়ে না। ভাল কাজটা চোখে না দেখলে আমাদের কিছু বলার নেই। আমাদের যে সিআরআই আমরা তৈরি করেছি। সেন্টার ফর রিসার্চ এ্যান্ড ইনফরমেশন- এটা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটা গবেষণা প্রতিষ্ঠান। যে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটা ২০০১ সালে অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে খালেদা জিয়ার সরকার বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা পুনরায় চালু করি।
তিনি বলেন, এই গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে ইয়াংবাংলা নামে একটা উদ্যোগ নেয়া হয়। যুব সমাজকে উৎসাহিত করা। তাদের স্টার্টআপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। তাদের এটাও বলা হয়, শুধু চাকরির পেছনে ঘুরবে কেন, চাকরি দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে। নিজের পায়ে দাঁড়াবে। নিজে ব্যবসা করবে, নিজেরা অন্যকে চাকরি দেবে। এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে আমাদের সরকারের আমলে।
প্রধানমন্ত্রী স্পীকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি (স্পীকার) জানেন যে, আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং শেখ রেহানার (বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা) ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ আমাদের কিছু তরুণ সংসদ সদস্য সকলে মিলেই কিন্তু ইয়াবাংলা স্টার্টআপ প্রোগ্রাম নিয়েছে। এই প্রোগ্রামের জন্য আমরা বিশেষ বরাদ্দও রেখেছি। আর ছেলেমেয়েরা যদি কেউ উদ্যোগ নিতে চায়, আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব। অনলাইনে কেনাবেচা, ই-কমার্স, টেন্ডার এগুলোতো হয়েছে বাংলাদেশে। সামনে আরও সময় আছে। আরও হবে। এক দিনে তো সব হয় না। ধাপে ধাপে করতে হয়।’
‘মোটিভ ক্রিয়েশন’ নামে উগান্ডার একটি সংগঠন যে এবারের ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ পুরস্কার পেয়েছে, সে বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিন ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশেরও কোন না কোন উদ্যোক্তা এই পুরস্কারটা পাবে বলে আমি আশা করি। তিনি বলেন, উগান্ডার ‘মোটিভ ক্রিয়েশন লিমিটেড’ যারা এই পুরস্কারটা পেয়েছেন তারা তাদের যুবসমাজকে যেমন মেধা ও মনন বিকাশে উদ্বুদ্ধ করছেন এবং যে যে কাজে অভ্যস্ত তাদের সে সুযোগটা সৃষ্টি করে দিচ্ছেন। আমাদের বাংলাদেশেও সেভাবেই আমাদের যুব সমাজ এগিয়ে আসবে, কাজ করবে।
এই সময় প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর মেমোরি অব ওয়ার্ল্ডের প্রামাণ্য দলিলে অন্তর্ভুক্ত করায় জাতিসংঘের অবদানকে স্মরণ করেন এবং জাতির পিতার নামে এই পুরস্কার প্রবর্তনে জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন ইউনেস্কো এবং তাদের সহযোগী বিভিন্ন সংগঠন, দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিকে ধন্যবাদ জানান। শেষাংশে জাতির পিতার একটি উদ্ধৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে ভালবেসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তর জীবনকে উৎসর্গ করে গেছেন। দেশের মানুষের জীবনকে আরও সুন্দর করে গড়ে তোলাই আমাদের প্রধান কাজ। ইনশাল্লাহ, বাংলাদেশকে আমরা ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবই।