জগন্নাথপুরে ইউনিয়ন নির্বাচনে নৌকা প্রত্যাশীরা এখন ঢাকায়

7

মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুর উপজেলার ৭ ইউনিয়নে আগামী ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর। তাই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা পাওয়ার আশায় একাধিক প্রার্থী এখন রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছেন। দলীয় প্রতীক নৌকা পেতে দলের হাই কমাণ্ডে বিভিন্ন ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের জোর লবিং ও তদবির। এ ক্ষেত্রে দলের তৃণমূল পর্যায়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হলে পাল্টে যাবে নির্বাচনী চিত্র। বেরিয়ে আসতে পারেন অনেক নতুন মুখ ত্যাগী, যোগ্য ও সাধারণ মানুষের পছন্দের প্রার্থী। তাই প্রার্থী সহ ভোটার সাধারণ চেয়ে আছেন দলীয় হাই কমাণ্ডের দিকে। কে বা কারা হচ্ছেন নৌকার মাঝি, তা নিয়ে জনমনে কৌতুহলের শেষ নেই। জনপ্রিয় ব্যক্তি নৌকা প্রতীক পেলে নির্বাচনে জন রায়ে অনায়াসে নৌকার বিজয় হবে। আর প্রার্থী নির্বাচনে ভুল হলে নৌকার ভরাডুবি হতে পারে। যে কারণে সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে সব সময় যাঁরা সাধারণ মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন সেই জনপ্রিয় ব্যক্তিদের দলীয় মনোনয়ন প্রদানে দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ভোটার ও আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। সেই সাথে উড়ে এসে জুড়ে বসা বসন্তের কোকিলদের প্রতি সজাগ থাকার জন্যও আহবান জানানো হয়।
এর মধ্যে ১নং কলকলিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ফখরুল হোসেন, ২নং পাটলি ইউনিয়নে উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এম ফজরুল ইসলাম, ৫নং চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শালিসি ব্যক্তি শহিদুল ইসলাম বকুল, ৬নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়নে উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সালেহ আহমদ, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসান ও আশারকান্দি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আলহাজ আবদুস ছাত্তার সহ একাধিক নৌকা প্রত্যাশী সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে ১৫ নভেম্বর সোমবার তাদের সমর্থকরা নিশ্চিত করেছেন।
তবে বিগত নির্বাচনে কলকলিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রয়াত আবদুল হাসিম, পাটলি ইউনিয়নে সিরাজুল হক, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নে আরশ মিয়া, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নে শহিদুল ইসলাম রানা, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নে তৈয়ব মিয়া কামালী, আশারকান্দি ইউনিয়নে শাহ আবু ইমানী ও পাইলগাঁও ইউনিয়নে মখলুছ মিয়া নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবারো শুধু আবদুল হাসিম ও তৈয়ব মিয়া কামালী ছাড়া অন্যরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন বলে স্থানীয়রা জানান।
যদিও আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে রীতিমতো দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। কেউবা দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন, আবার কেউবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অনেকে আবার প্রবাস থেকে দেশে ফিরছেন নির্বাচনে অংশ নেয়ার আশায়। চারদিকে শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী আমেজ। ভোটাররাও কষতে শুরু করেছেন ভোটের হিসাব-নিকাশ। সমর্থকরাও গাইতে শুরু করেছেন তাদের পছন্দের প্রার্থীর গুণ-গান।