সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে জনবল সংকট

5

শিপন আহমদ ওসমানীনগর থেকে :
করোনার সংকটের পরবর্তী সময়ে সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি সেবার মান বৃদ্ধি পেলেও নিরসন হচ্ছেনা জনবল সংকটের। জনবল সংকটের কারণে সিলেটের ১২ উপজেলা আর নগরীর ছয়টি থানার বাসিন্দা সেবাগ্রহীতাদের সুষ্ঠু সেবা প্রদানে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মরতরা। সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে ৩৫ পদের মধ্যে শুধু মাত্র ১৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে চলছে কার্যক্রম। অন্যদিকে এনআইডি, বিআরসি জন্ম সনদে সার্ভার সমস্যাই-পাসপোর্টে বেসিক, এমআরপিতে ভেকেন্ড সমস্যাসহ নানা প্রতিকূলতার পরও সিলেট পাসপোর্ট অফিসের তত্ত্বাবধানে গত নয় মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। এমতাবস্থায় জরুরী ভিত্তিত্বে শূন্য পদগুলো পূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম আরও গতিশীল ও সেবার মান বৃদ্ধির আহবান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী প্রতি কর্মদিবসে একজন অপারেটরকে ৩৫টি ও কর্মকর্তাকে ৭২টি আবেদন সম্পন্ন করার বিধান থাকলে লোকবলের অভাবে নিয়মের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি কাজ করতে হচ্ছে বর্তমান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক এ.কে.এম মাজহারুল ইসলাম জানান, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাড়তি কষ্ট করতে হচ্ছে ঠিক, জনগণের ওপর এর তেমন একটা প্রভাব পড়ছে না। সেবা এলাকা বিবেচনায় পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছুটা কষ্ট তো হচ্ছেই। বিশেষ করে অফিস সহকারী ও ডাটা এন্ট্রি পদে লোক বাড়ানো গেলে দুর্ভোগ লাঘব হতো।