সাঁকো বিহীন বাংলাদেশ গড়তে চাই : পরিকল্পনামন্ত্রী

3

মো. শাহজাহান মিয়া, জগন্নাথপুর
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি বলেছন, অতীতে কোন সরকার গ্রামের দিকে তাকায়নি। যে কারণে অবহেলিত ছিল। গ্রামের মানুষ অতোসতো বুঝে না। তারা শুধু উন্নয়ন চায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। এ উন্নয়ন থেকে বাদ পড়েনি গ্রামের মানুষও। তাই উন্নয়নের জোয়ার ধরে রাখতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। আগামীতে সাঁকো বিহীন বাংলাদেশ গড়তে চাই। সুনামগঞ্জে বিমানবন্দর ও রেললাইন দিতে চাই। আরো অনেক উন্নয়ন কাজ বাকি রয়ে গেছে। আমি শুধু কাজ করতে চাই। তাই আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে রায় দিয়ে উন্নয়ন অব্যাহত রাখুন। তিনি বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, সীমা লঙ্গন ভালো নয়। আন্দোলনের নামে পৃথীবির কোথাও এভাবে হরতাল-অবেরাধ ও আগুন সন্ত্রাস হয় না।
১৭ নভেম্বর শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়ন আ.লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের উদ্যোগে স্থানীয় দাওরাই বাজার এলাকায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা আ.লীগের উপদেষ্টা সিদ্দিক আহমদ। আশারকান্দি ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মো.আইয়ূব খানের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কয়েছ ইসরাইলের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম।
এ সময় সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ সার্কেল) শুভাশীষ ধর, জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভ‚ঞা, জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান, জগন্নাথপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, সাবেক সহ-সভাপতি আবদুল কাইয়ূম মশাহিদ, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক লুৎফুর রহমান, শান্তিগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসাইন, জগন্নাথপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাফরোজ ইসলাম মুন্না, মিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরিন, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বকুল, রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, আশারকান্দি ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্ম-সম্পাদক সাবেক ইউপি সদস্য শাহ খায়রুল ইসলাম, জগন্নাথপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মুকিত, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কল্যাণ কান্তি রায় সানি সহ দলীয় নেতাকর্মী, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এতে দিনব্যাপী বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারো জনতা অংশ গ্রহণ করেন। পরে মধ্যঞ্চভোজের আয়োজন করা হয়। এর আগে মন্ত্রী আরো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।