স্বীকৃতি পেতে মরিয়া তালেবানের পাশে নেই কেউ

7

কাজিরবাজার ডেস্ক :
গত আগষ্টে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃতি পেতে মরিয়া তালেবান নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
কয়েকদিন আগেই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বক্তব্য দেওয়ার জন্য নিজেদের মনোনীত প্রতিনিধি পাঠাতে চেয়েছিল। কিন্তু জাতিসংঘের তরফ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।
অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে তালেবান। বৈঠকে ব্রিটিশ নাগরিকদের আফগানিস্তান ছাড়ার ব্যাপারে তালেবানকে আহ্বান জানায় যুক্তরাজ্য। বৈঠককে তালেবানের প্রতিনিধিদের কাছে যুক্তরাজ্য আফগান নারীদের অধিকার বিষয়টিও উত্থাপন করে। যদিও তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে মুখ খোলেনি ব্রিটেন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের জন্য সাহায্য পাঠিয়েছে কাতার, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান এবং উজবেকিস্তান। তবে কোনো দেশই আফগানিস্তানের বৈধ শাসক হিসেবে তালেবানকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি।
তালেবানের এই বর্তমান কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতা গত ১০ বছরের চেয়ে আলাদা। কারণ গত ১০ বছরে শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে বিভিন্ন দেশে ঘুরেছে তালেবান।
২০১১ সালে দোহা শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আলোচনা করেছেন তালেবানের প্রতিনিধিরা। গত দুই বছরে তালেবানের প্রতিনিধিরা উজবেকিস্তান, ইরান, রাশিয়া, তুর্কমেনিস্তান, চীন এবং পাকিস্তানে আনুষ্ঠানিক সফর করেছেন।
ওই সময় তালেবানের সফরকে ‘তালেবানের বিশ্বভ্রমণ’ নাম দিয়েছিল কাবুলের কয়েকটি নির্দিষ্ট মহল।
যদিও ওই সময় যেসব দেশ আলোচনার জন্য তালেবান প্রতিনিধিদের সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, তারাই এখন তালেবানের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
এমনকি দীর্ঘদিন ধরে তালেবানকে সহায়তা ও সমর্থন জানিয়ে আসা ইরানও সংগঠনটি দ্বিতীয় দফায় কাবুল দখলের পর তাদের সুর বদলে ফেলেছে।
এদিকে, এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সাবেক আফগান কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন দেশ তালেবানকে একটি ন্যায়সঙ্গত সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দিলে তা কূটনৈতিক রীতির পরিপন্থী হবে।