শাবির সাবেক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে

3

স্টাফ রিপোর্টার :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টা মামলার ধার্য তারিখ হলেও স্বাক্ষী উপস্থিত না থাকায় হয়নি সাক্ষ্যগ্রহণ। গতকাল সোমবার সকাল ১১ টায় সিলেটের সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হবার কথা থাকলেও সাক্ষী উপস্থিত না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। পরবর্তী ধার্য তারিখে সাক্ষ্যগ্রহণ হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালের এপিপি এডভোকেট আব্দুল মজিদ মানিক।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণ না হলেও ড. জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ফয়জুল হাসান ফয়েজের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। কিন্তু আদালতে ফয়েজ উপস্থিত না থাকায় তার জামিন শুনানিও হয়নি। তাই আগামী ধার্য তারিখ জামিন আবেদনের শুনানিও হবে বলেও জানান এপিপি এডভোকেট আব্দুল মজিদ মানিক।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২ মার্চ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথার পেছন দিকে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। এ ঘটনায় শাবিপ্রবির রেজিস্টার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পরে ওই বছরের ২৬ জুলাই মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে থাকা জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ৩৫৩ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র জমা দেন। এ মামলায় ড. জাফর ইকবালের উপর হামলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত উল্লেখ করে ৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযুক্তরা হচ্ছে- হামলাকারী ফয়জুল হাসান ফয়েজ, ফয়েজের বন্ধু মো. সোহাগ মিয়া, ফয়েজের পিতা হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমান, মাতা মোছাম্মৎ মিনারা বেগম, মামা মো. ফজলুর রহমান এবং ফয়েজের ভাই এনামুল হাসান। এদের সবাইকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করা হলেও ফয়জুল হাসান ফয়েজ ছাড়া বাকি সবাই জামিনে আছেন বলে জানান আসামি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ বাবুল মিয়া।