বিশ্বনাথে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা ॥ সাইফুলকে গ্রেফতার করা না হলে সিলেটে গণঅনশন

2
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও বিশ্বনাথের প্রাক্তন উপজেলা চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান।

বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
চলতি বছরের ১ মে যুক্তারাজ্য প্রবাসী সাইফুল আলমের গুলিতে নিহত হন বিশ^নাথের চৈতননগর গ্রামের দশম শ্রেনীর ছাত্র সুমেল মিয়া (১৮)। এ ঘটনায় সাইফুলকে প্রধান আসামিসহ আরও ২৭জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করার পর দীর্ঘ চারমাসেও গ্রেফতার হয়নি মামলার প্রধান অভিযুক্ত যুক্তরাজ্য প্রবাসী চাউলধনী হাওর ইজারার ফাউন্ডার সাফুল আলমকে। আর এতে ফুঁসে উঠছেন এলাকাবাসী। সাইফুলকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা না হলে গণ-অনশনের ডাক দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হাওরপারের বাসিন্দারা।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বাদ-আছর উপজেলার দশপাইকা-আনরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় গণ-অনশনের ডাক দেওয়া হয়। চাউলধনী হাওরের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণী এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও বিশ^নাথ উপজেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান।
বক্তব্যে তিনি বলেন, দলীয় ছত্র-ছায়ায় থাকায় দীর্ঘ চার মাসেও সুমেল হত্যার খুনি সাইফুলকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আগামি এক মাসের মধ্যে খুনি সাইফুলকে গ্রেফথার করা না হলে সিলেটে গণ-অনশন করা হবে।
চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহবায়ক আবুল কালামের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের উপদেষ্টা সদস্য শফিক আহমদ পিয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক হাজী আরিফ উল্লাহ সিতাব, সাধারণ সম্পাদক বাবুল মিয়া মাষ্টার, কৃষক রোশন আলী, আব্দুল খালেক ও আব্দুল মুমনি কালু।
প্রসঙ্গত ২০২০ সালের ১ মে সাইফুল আলমকে জোরপূর্বক জমি থেকে মাটি নিতে বাধা দেন নজির উদ্দিন, তার দুই ভাই ও ভাতিজা স্কুলছাত্র সুমেল মিয়া। এতে প্রতিপক্ষ সাইফুল তাদের উপর গুলি ছুঁড়লে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান সুমেল। এ ঘটনার একদিন পর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের চাচা ইব্রাহীম আলী সিজিল, মামলা নং (৪)।