কাজিরবাজার ডেস্ক :
জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে, মডার্নার তৈরি অব্যবহৃত ভ্যাকসিনের কিছু অংশে ফরেন ম্যাটেরিয়াল পাওয়া গিয়েছে। যার কারণে পূর্ব সতর্কতা হিসেবে মডার্না টিকার প্রায় ১৬ লাখ ৩০ হাজার ডোজের ব্যবহার স্থগিত করা হয়েছে।
জাপানের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান তাকেদা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি দেশটিতে টিকার বিক্রয় এবং বণ্টনের দায়িত্বে রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তারা এখনো নিরাপত্তা উদ্বেগের কোনো প্রতিবেদন দেখেনি।
টিকার ৩৯টি শিশিতে যে ফরেন সাবস্ট্যান্স বা বাইরের বস্তু পাওয়া গিয়েছে তার পরিমাণ সামান্য কয়েক মিলিমিটার। তবে, ক্ষতির কী কী বস্তু পাওয়া গিয়েছে সে বিষয়টি এখনো অজানা। জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও তাকেদা বলেছে, মডার্না কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে।
দেশটির স্বাস্থ্য, শ্রম, কল্যাণ মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ১৬ আগস্ট থেকে ৮টি টিকাদান কেন্দ্র থেকে ফরেন সাবস্ট্যান্স পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বুধবার তাকেদা বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানায়।
তাকেদা এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বায়োটেকনোলোজি ফার্মকে জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করার অনুরোধ করেছে। সেই সাথে তারা মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠান ও ভ্যাকসিনের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলেছে যে, অস্বাভাবিকতা দেখতে পেলে তারা যেন টিকা ব্যবহার না করে।
জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, স্পেনে মডার্না ভ্যাকসিনের ১.৬৩ মিলিয়ন ডোজ একই প্রোডাকশন লাইনে, একই সময়ে উৎপাদন করা হয়েছিল। এসব ডোজ ইতোমধ্যে ৮৬৩টি ভ্যাকসিন সেন্টারে প্রেরণ করা হয়েছিল।
করোনা মোকাবেলা করতে জাপান যখন হিমশিম খাচ্ছে ঠিক তখনই এমন একটি সমস্যা সামনে এলো। দেশটিতে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। করোনা মোকাবেলা করতে দেশটির সরকার ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উপর জোর দিয়েছে।
জাপান সরকারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাসে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য মডার্নার টিকার অনুমোদন দেয় জাপান সরকার। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ মিলিয়ন ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৫০ মিলিয়ন ডোজ পেতে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মডার্নার সঙ্গে চুক্তি করেছিল জাপান। বর্তমানে দেশটিতে ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষেরা টিকা নিতে পারছে।