খালেদা জিয়া আজ করোনার টিকা নেবেন

4

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আজ সোমবার করোনার টিকা নেবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। নিবন্ধনের সময় মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টিকা নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে এসএমএস পাওয়ার পর তিনি গুলশানের বাসায় অবস্থান করে টিকা নেয়ার জন্য দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে দিয়ে তদ্বির করেন। কোন কারণে বাসায় থেকে টিকা নিতে না পারলে নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেবেন।
বিএনপি সূত্র জানায়, ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে ঘরের বাইরে নেয়াটা নিরাপদ মনে করছে না তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। বর্তমানে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এ অবস্থায় তার বাসার বাইরে যাওয়া কোনভাবেই নিরাপদ নয়। এ জন্য টিকাকেন্দ্রে না নিয়ে গুলশানের বাসায় টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করতে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এ বিষয়ে একজন মন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছেন।
উল্লেখ্য, ৯ জুলাই টিকা নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করেন খালেদা জিয়া। শনিবার এসএমএস আসে আজ সোমবার টিকা গ্রহণের জন্য। খালেদা জিয়ার টিকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, এটা উনার চিকিৎসকরা বলতে পারবেন। তবে শনিবার খালেদা জিয়ার টিকা দেয়ার ফিরতি এসএমএস এসেছে।
গৃহকর্মী ফাতেমাসহ গুলশানের বাসা ফিরোজা’য় ৮ জন করোনাক্রান্ত হওয়ায় ১০ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষা করা হয়। ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এর পর থেকে অধ্যাপক ডাঃ এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৪ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাসায় থেকেই তিনি চিকিৎসা নেন। ১৫ এপ্রিল এক ঘণ্টার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে সিটি স্ক্যান করানো হয়। রিপোর্ট ভাল আসায় তাকে ওইদিন হাসপাতালে ভর্তি না করে গুলশানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে আবারও এভার কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট ভাল না আসায় ওইদিনই তাঁকে ভর্তি করা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়ার হঠাৎ শ্বাস কষ্ট বেড়ে যাওয়ায় ৩ মে তাকে ওই হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে থাকা অবস্থায় গত ২৮ মে খালেদা জিয়া হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হন। তবে ৩০ মে তার জ্বর নিয়ন্ত্রণে আসে। নতুন করে বড় রকমের কোন সমস্যা না হওয়ায় ৩ জুন তাকে সিসিইউ থেকে কেবিনে আনা হয়। ১৩ জুন আবারও জ্বরে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। এর পর থেকে তার চিকিৎসা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হয়। তবে শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি না হওয়ায় ১৯ জুন খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
দেশবাসীকে খালেদার ঈদের শুভেচ্ছা : পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রবিবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।