ভূমিকম্পে নগরীতে বন্ধ ঘোষিত ঝুঁকিপূর্ণ ৬ মার্কেটে সিসিকের অভিযান

6

স্টাফ রিপোর্টার :
ভূমিকম্প পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বন্ধ ঘোষিত ৬ মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করেছেন সিসিক ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল সোমবার সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায় ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন অভিযান পরিচালনা করেন।
মার্কেটগুলো হচ্ছে, নগরীর সুরমা মার্কেট, সিটি সুপার মার্কেট, মধুবন সুপার মার্কেট, সমবায় মার্কেট, মিতালী ম্যানশন ও রাজা ম্যানশন পরিদর্শন করেন এই অভিযান পরিচালনা কালে কয়েকটি দোকান খোলা পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিকভাবে সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয় এবং মাইকিং করে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভূমিকম্পে করনীয় নির্দেশাবলী প্রচার ও সর্তক থাকতে অনুরোধ জানান। এছাড়া নগরীর হাউজিং এস্টেটের একটি আবাসিক ভবন হেলে পড়ার সংবাদে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তারা।
এদিকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতামূকল ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষে ভূমিকম্পে নাগরিকদের করণীয় বিষয়ে নির্দেশাবলী মাইকিং এর মাধ্যমে নগরীজুড়ে প্রচার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার ৩০ মে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে সিলেট জেলা প্রশাসন, গণপূর্ত বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, মহানগর পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে পরিচালিত অভিযানে নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা করে ভবন/মার্কেট ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, মার্কেট কিংবা দোকানপাট এক মিনিট বন্ধ থাকুক, তা আমিও চাই না। কিন্তু দফায় দফায় ভূমিকম্প হওয়াতে বিশেষজ্ঞদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে। এজন্য ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে নির্দেশনা মানা প্রয়োজন। অন্তত আগে নিজে বাঁচুন এরপর ব্যবসার চিন্তা করুন।
এদিকে ১০ দিনের নিষেধাজ্ঞাটি ৭ দিনে নিয়ে আসতে সিসিক কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন মার্কেটগুলোর ব্যবসায়ীরা। ঝুঁকিপূর্ণ এসব মার্কেট ও দোকানের ব্যবসায়ীরা বেচাকেনা বন্ধ রাখায় মার্কেটের ফটক থেকে ক্রেতারা ফিরে যেতে দেখা গেছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে সেগুলো ঘুরে দেখা যায়, ৬টি মার্কেটেরই প্রধান ফটক বন্ধ। ফটকের সামনে শুধু নিরাপত্তাপ্রহরীরা দায়িত্ব পালন করছেন। অনেক ক্রেতা বিষয়টি না জানার কারণে মার্কেটের সামনে এসে সেগুলো বন্ধ দেখে ফিরে যাচ্ছেন।