শাল্লার জুম্মন দাসের নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

10
শাল্লার নির্দোষ যুবক জুম্মন দাসের নি:শর্ত মুক্তি সহ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ক্ষতিপূরণ ও নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন।

সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গত ১৭ মার্চ হেফাজত নেতা মামুনুল হক এর বিরুদ্ধে ফেইসবুকে পোস্টিংয়ের অভিযোগে শাল্লার সংখ্যালঘু যুবক জুম্মন দাসকে গ্রেফতার এবং নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৭টি বাড়ি, ১৭টি মন্দির ভাংচুরসহ লুটতরাজ করা হয়েছে। এই ভাংচুর ও লুটতরাজের সাথে জড়িত ৬৫ জনকে গ্রেফতার করা হলেও অধিকাংশ আসামীরাই জামিনে মুক্তি পেয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু জুম্মন দাস কে এখনও জামিন প্রদান করা হয়নি। কাউন্টার মামলার সকল আসামীরা গুরুতর অপরাধ করার পরও জামিনে মুক্তি পেয়েছে। অথচ জুম্মন দাসের জামিনের আবেদন করেও আমরা ন্যায়বিচার পাইনি।
২৮ মে শুক্রবার বিকেলে সুনামগঞ্জ পৌরবিপণী মার্কেটে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা। সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের সংখ্যালঘু নিরীহ যুবক জুম্মন দাসের নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে উক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পেইন ফর দি প্রটেকশন ওফ রিলিজিয়াস মাইনোরিটিজ ইন বাংলাদেশ (সিপিআরএমবি) ও রিসার্স এন্ড এমপাওয়ারমেন্ট অর্গ্যানাইজেশন (আরইও) এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ এর আহবায়ক প্রপেসর ড. অরুন কুমার গোস্বামী। আরো বক্তব্য রাখেন জুম্মন দাসের মাতা নীতিরানী দাস, জুম্মন দাসের স্ত্রী সুইটি রানী দাস, আইনজীবী দেবাংসু শেখর দাশ এডভোকেট, সাংবাদিক সেলিম সামাদ, মানবাধিকার কর্মী পীযুজ কুরী, রাজেশ সাহা ও প্রপেসর চন্দন কর প্রমুখ।
তারা বলেন, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের আহবানে শান্তিপ্রিয় নাগরিকগণ জুম্মন দাসকে থানা পুলিশে সোপর্দ করেছিলেন। তৎপ্রেক্ষিতে পুলিশ ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে। কিন্তু ঘটনার এক সপ্তাহের ব্যবধানে কারাগারে আটক থাকাবস্থায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে আইনের অপপ্রয়োগ করত: জুম্মন দাসকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় শ্যুন এরেস্ট দেখানো হয়।
জুম্মন দাস সরকার বা রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে কিংবা কোন ধর্মীয় নাগরিকদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কোন সমালোচনা করেনি। যার সমালোচনা করেছে বলে দাবী করা হচ্ছে তিনি একাধিক মামলায় অভিযুক্ত একজন ব্যক্তিমাত্র। ব্যক্তি পর্যায়ের এ ঘটনাটিকে নিয়ে হয়রানীমূলক মামলায় তাকে দিনের পর দিন আটক রাখা হয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করে নিরীহ জুম্মন দাসের নি:শর্ত মুক্তি ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জোর দাবী জানাচ্ছি।