সীমান্তবর্তী জেলায় সংক্রমণের মাত্রা আশঙ্কাজনক ॥ চাঁপাইয়েই দিনে ৫৫ শতাংশের বেশি আক্রান্ত

20

কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশের সীমান্তবর্তী সাত জেলায় করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি শঙ্কা তৈরি করেছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ সীমান্তে অবৈধভাবে যাতায়াত এসব এলাকায় করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। জেলাগুলোর স্থানীয় প্রশাসন বলছে, ঈদকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীনতা ও গাদাগাদি করে চলাচল করার কারণেই আশঙ্কাজনক হারে সংক্রমণ বেড়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সংক্রমণ বাড়লেও ঈদের যাতায়াতকেন্দ্রিক না নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে ঘটছে সেটি এখন নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। আক্রান্ত এলাকার রোগীদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্স ছাড়া সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। ঈদযাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা এবং সীমান্ত এলাকায় অবৈধভাবে যাতায়াত সংক্রমণ পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর চলমান কাজগুলো জোরদার করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশে সীমান্তবর্তী জেলা আছে ৩২টি। এর মধ্যে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত আছে ৩০ জেলার। যশোরের সীমান্ত ঘেঁষে রয়েছে ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ও রাজশাহীর পাশে মালদহ, জঙ্গিপুর। বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জেই দিনে সংক্রমণের হার ৫৫ শতাংশের বেশি। এছাড়া রাজশাহীতেও আশঙ্কাজনকহারে সংক্রমণ বাড়ছে। এই জেলাগুলোর মধ্যে ভারতের এই পার্শ¦বর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ ও মৃতুহার বেশি। সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে যশোর সংলগ্ন উত্তর ২৪ পরগনা। ভারতের পশ্চিম বঙ্গে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনায় এগিয়ে রয়েছে জেলা। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থল বন্দরটি হলো যশোর ও উত্তরা ২৪ পরগনার বেনাপোল। এই বন্দর দিয়েই সর্বোচ্চ সংখ্যক লোক ভারতে যাতায়াত করে থাকে।
ঈদের পরে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হলেও শুরুতে মনে করা হচ্ছিল সারাদেশেই এই সংক্রমণ বাড়বে। অথচ সীমান্ত এলাকা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও সিলেটের ব্যাপকহারে সংক্রমণ বাড়ছে। মূলত চাঁপাইনবাবগঞ্জ হটস্পট হিসেবে শুরু হলেও পার্শ্ববর্তী জেলা রাজশাহীতে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে সংক্রমণ হার ৫৫ শতাংশ ও রাজশাহীতে ৩৩ শতাংশ। এছাড়া খুলনা, সাতক্ষীরাতেও সংক্রমণ বাড়ছে। এভাবে আস্তে আস্তে সীমান্ত জেলাগুলো থেকে সংক্রমণ দেশের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে সংক্রমণ বাড়লে শুরু থেকেই রাজশাহীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধের দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেটি না করায় রাজশাহীতে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এভাবে পাশের জেলাতেও ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার আখাউড়া ও বিবিরবাজার, যশোরের বেনাপোল, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া-বাংলাবান্ধা, কক্সবাজারের টেকনাফ, ফেনীর বিলুনিয়া, রাজশাহীর সোনা মসজিদ, সাতক্ষীরার ভোমরা, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, লালমনিরহাটের বুড়িমারি, কুড়িগ্রামের সোনাহাট, তুরা রোড ও রৌমারী, দিনাজপুরের হিলি ও রাধিকাপুর, সিলেটের তামাবিল, গোয়াইনঘাট ও সুতারকান্দি-বিয়ানিবাজার, হবিগঞ্জের জকিগঞ্জ, বাল্লা চুনারুঘাট, মৌলভীবাজারের ফুলতলা ও চাতলা, ময়মনসিংহের নাকুগাও, শেরপুরের গোবরা কুড়া ও হালুয়াঘাট এবং জামালপুরের ধানুয়া বকশিগঞ্জ থেকে বৈধ পথে প্রতিদিন ভারত থেকে বাংলাদেশী নাগরিকরা প্রবেশ করছেন। এছাড়া অবৈধপথেও ওইসব এলাকা দিয়ে মানুষ দেশে আসছে। তাদের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ট্রাকভর্তি মালামাল নিয়ে আসছে অনেক শ্রমিক। এরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে স্থানীয় শ্রমিকদের সঙ্গে মেলামেশা করছে। এরাও হতে পারে করোনার অন্যতম বাহক। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের সীমান্তের বেশিরভাগ স্থানেই কাঁটাতারের বেড়া নেই। এছাড়া রাজশাহীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীই দুই দেশের মধ্যে সীমানা হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একইসঙ্গে সীমান্ত এলাকার কোন কোন বাড়ির দুই ঘর দুই দেশের মধ্যে পড়েছে। মূলত এই কারণেই দুই দেশের মধ্যকার চাইলেও যাতায়াত বন্ধ করা যায় না।
চোরাকারবারিদের যাতায়াতও দুই দেশের মধ্যকার সীমান্ত এলাকার বড় একটি সমস্যা। অনেক ক্ষেত্রেই দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতকারীরা করোনা বিধি মানছে না। তাদের মাধ্যমেও করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে। একইভাবে যশোরের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার। যেখানে প্রতিদিনই করোনাতে মৃত্যু ও সংক্রমণ বাড়ছে। পশ্চিম বাংলার মধ্যে গত একমাস ধরেই সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে জেলাটি। এই জেলার ওপর দিয়ে বাংলাদেশের বেশি নাগরিক ভারতে বৈধভাবে প্রবেশ করে থাকে। একইভাবে অবৈধভাবেও প্রবেশের সংখ্যা কম নয়। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী সীমান্ত বেশি অরক্ষিত থাকার কারণে অবৈধভাবে যাতায়াতের সম্ভাবনাও বেশি রয়েছে। বিশেষ করে চোরাচালানজনিত সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেন, অবৈধভাবে ভারত থেকে মানুষ আসা বন্ধ না হওয়া দেশের জন্য বিপজ্জনক। যে কোন সময় দেশে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের পূর্ণ সংক্রমণ শুরু হতে পারে। আর সেই ধাক্কা সামাল দেয়া কঠিন হবে। মহাদুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে অনতিবিলম্বে সীমান্তে সুরক্ষা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়ে তারা বলেন, ভারত থেকে আসা বাংলাদেশী নাগরিকদের অনেকের শরীরেই সংক্রমণ ধরা পড়ছে। অধিক সংক্রমণশীল ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের রোগীও পাঁচজন শনাক্ত হয়েছেন। তাই সীমান্তে এখনই কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে।
সম্প্রতি সাতক্ষীরায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভারতফেরত ১৩৯ জন পাসপোর্টধারী যাত্রীর মধ্যে ১১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ভারতে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি একজন ভারতীয় নাগরিক অবৈধ পথে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। তার শ্বশুরবাড়ি বেনাপোলে। পুলিশ তাকে আটক করে বেনাপোলের একটি হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে। জানা গেছে, বৈধ স্থলবন্দর ছাড়াও দুই দেশের বিস্তীর্ণ সীমান্ত এলাকা রয়েছে। এর সব স্থানে কাঁটাতারের বেড়া নেই। এখনও অনেক এলাকা আছে, যেখানে একটি বাড়ির ভেতর দিয়ে সীমান্তরেখা গেছে। এসব পথ দিয়ে অবৈধভাবে দৈনিক বিপুলসংখ্যক মানুষ দেশে প্রবেশ করে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন বলেন, যশোর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সিলেটের এই জেলাগুলোতে সংক্রমণ কিছুটা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সীমান্তবর্তী এই জেলাগুলোতে সংক্রমণ বেশি হওয়ার সঙ্গে ভারতে যাতায়াতের একটি সম্পর্ক থাকতে পারে। তবে জেলাগুলোর স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মনে করেন, ঈদের সময়ে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলার প্রবণতা এবং গাদাগাদি করে চলাচলের কারণে মূলত সংক্রমণ বেড়েছে। আবার সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে সাধারণ মানুষের অবৈধভাবে চলাচলও কিছুটা প্রভাবিত করা হয়েছে। তাই জেলাগুলোতে দায়িত্বরত বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশকে সীমান্ত পাহারায় সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত মুখপাত্র এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসব জেলায় স্থলবন্দর ব্যতীত অন্য পথে লোক ঢুকছে বলেও শুনেছি। যদিও এখনও কোন প্রমাণ আমাদের হাতে আসেনি। তবে এ বিষয়ে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর সিভিল সার্জন এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় পরিচালকদের সঙ্গে সভা করেছি। সভায় জেলাগুলোর প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়াতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২২ শতাংশ থেকে ছয়দিনের ব্যবধানে ৫০ শতাংশের বেশি দাঁড়িয়েছে সংক্রমণের হার। গত ১৮ মে থেকে এই সংক্রমণের হার বেড়েছে বলে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। পার্শ্ববর্তী জেলা রাজশাহীতে দাঁড়িয়েছে ৩৩ শতাংশের কাছাকছি। উচ্চ সংক্রমণ দেখা দেয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাতদিন লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এই লকডাউন কার্যকর হবে। এই সাতদিন জেলা থেকে কেউ বের হতে পারবে না বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ। বর্তমানে সারাদেশে একটি জেলাই আছে বিশেষ এই লকডাউনের আওতায়। জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ জাহিদ নজরুল চৌধুরী মনে করছেন, এই সংক্রমণের হার বেড়েছে সাস্থ্যবিধি না মানার কারণে। তিনি বলেন, এক কথায় বলতে গেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বেশ কিছু লোক জেলার বাইরে ধান কাটতে যায়। তারাও ফিরে এসেছে। আবার অনেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন, এরাও ফিরে চলে এসেছে। শিবগঞ্জ আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই। জেল জরিমানা সবই করা হয়েছে কিন্তু মাস্ক পরতে চায় না। তবে ভারতের সঙ্গে সীমান্তজনিত এলাকা হওয়ার কারণে সংক্রমণ বাড়ার কারণ খুব কম বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরও জানান, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানি বেশি হয় আর ক্রস বর্ডার বাণিজ্য মাত্রাতিরিক্ত বলে মনে হচ্ছে না। স্থানীয়ভাবেই এই সংক্রমণ বেড়েছে বলে আমার ধারণা। আমরা বিজিবির সঙ্গে কথা বলেছি সীমান্ত দিয়ে মানুষ যাতে কম পারাপার হয় সেই বিষয়ে আমরা তাদের জানিয়েছি। তবে তা এখনই সীমান্তজনিত যাতায়াতের কারণে বেড়েছে কিনা বলা যাবে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ৪২ জনের নমুনা ঢাকায় জিনোম সিকোয়েন্স করার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এদিকে রাজশাহীর সংক্রমণের হার একদিনের ব্যবধানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ শতাংশে। একদিন আগেও ছিল তা ২২ শতাংশ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অবাধ যাতায়াতের কারণে রাজশাহীর সংক্রমণের হার বেড়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ কাইয়ুম তালুকদার। তিনি বলেন, রাজশাহীর অবস্থা চাঁপাইনবাবগঞ্জের মতো খারাপ না, তবে খারাপের দিকে। আমরা সব জায়গায় প্রস্তুতি নিচ্ছি। অন্য জেলা থেকে যারা আসছে তাদের নিয়ন্ত্রণ, বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এখানে যেন কেউ আসতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। মানুষ যাতে স্বাস্থ্যবিধি পালন করে সেজন্য নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।
বেড়ে যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা অপ্রত্যাশিত না, এমনটা হবে আমরা আগেই ধারণা করেছিলাম। সীমান্তবর্তী এলাকা আরও আছে সবখানে তো একই পরিস্থিতি না। মূল কথা হচ্ছে মানুষের অসচেতনতা। ঢাকা থেকে যখন এত মানুষ অন্য জেলায় গেল সেখানে অবশ্যই সংক্রমিত হওয়ার সুযোগ থাকে এবং ঈদের পর থেকে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ঈদের দিন থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১২ দিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮২ জন। আক্রান্তদের ৫২৬ জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। এছাড়া মৌলভীবাজারের ৬৩ জন, হবিগঞ্জের ৫১ জন, সুনামগঞ্জের ৩০ জন এবং ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এই সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৮ জন। তন্মধ্যে ১৬ জনই সিলেট জেলার এবং সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের একজন করে মৃত্যু হয়েছে।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে সাতক্ষীরায় ফিরে আসা ৩৩৭ বাংলাদেশী নাগরিকের নমুনা পরীক্ষা শেষে ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তদের নমুনা আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে তাদের শরীরে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট আছে কিনা।