মজুরি না পাওয়ায় তারাপুর বাগানে দুসপ্তাহ থেকে চা পাতা উত্তোলন বন্ধ

5

তারাপুর চা বাগানে প্রায় ২ সপ্তাহ থেকে মজুরি পাচ্ছেন না শ্রমিকরা। যার জন্য বাগান থেকে চা পাতা উত্তোলনও সম্ভব হচ্ছেনা। শ্রমিকদের পাওনা টাকা বাগান পরিচালনা কমিটি পরিশোধ না করতে পারায় শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। শনিবার (২২ মে) পর্যন্ত বাগান পরিচালনা কমিটি শ্রমিকদের পাওনা টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। এজন্য শনিবার সকালে শ্রমিকরা বাগানে বিক্ষোভ করেন।
তবে বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কৃষি ব্যাংক তাদেরকে ঈদের পরে লোন দেয়ার কথা থাকলেও হঠাৎ করে ব্যাংক লোন দিতে অনিহা প্রকাশ করে। যার জন্য আর্থিক সংকটে পড়েছে বাগান। এছাড়া সম্প্রতি বাগান থেকে কিছু চা পাতা উত্তোলন করে নিলামে বিক্রি করা হয় চট্টগ্রামে। বিক্রয়কৃত চায়ের মূল্য হয় প্রায় ৮ লাখ টাকা। সেই টাকাও কৃষি ব্যাংকের গাফিলতির কারণে পাচ্ছেনা বাগান পরিচালনা কমিটি।
তারাপুর চা বাগান পরিচালনা কমিটির সম্পাদক শান্তনু দত্ত শন্তু বলেন, গত বুধবার বাগানে শ্রমিকরা কাজ করেন কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে শ্রমিকরা মজুরী না পাওয়ায় কাজে যোগ না দেয়ায় বাগান থেকে চা পাতা তুলা সম্ভব হচ্ছেনা। আমাদেরকে লোন দেয়ায় কথা ছিলো কৃষি ব্যাংকের। কিন্তু ব্যাংক লোন না পাওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি। পরিচালনা কমিটি গত কয়েকমাসে বাগান পরিচালনা করতে গিয়ে প্রায় ২৯-৩০ লাখ টাকা দেনা নিয়ে বাগান পরিচালনা করে এখন আর্থিক সংকটে পড়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন তারাপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপন অপু চক্রবর্তী। তিনি জানান, বাগানে নতুন চা পাতা তুলা যাচ্ছে না প্রায় ২ সপ্তাহ থেকে কারণ শ্রমিকরা মজুরী পাচ্ছে না। বাগানে বিভিন্ন ধাপে প্রায় ১৪১ জন শ্রমিক কাজ করেন। আমাদেরকে বিপদে ফেলেছে কৃষি ব্যাংক। ঈদের পরে তারা লোন দিবে বলে আশ্বস্ত করলেও তারা এখন লোন দিচ্ছে না। এছাড়া শ্রমিকদের মজুরী পরিশোধ করার জন্য আমরা বাগান থেকে কিছু চা নিলামের জন্য চট্টগ্রামে পাঠিয়ে নিলাম করে প্রায় ৮লাখ টাকা পাওয়ার কথা। সেই টাকাও কৃষি ব্যাংকের গাফিলতির কারণে পাচ্ছি না। যার জন্য বাগান বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, টাকা পরিশোধ না করায় শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখেছে। সেই সাথে বাগান পরিচালনা কমিটির কাছেও এই মূহুর্তে কোন টাকা নেই। জানুয়ারি মাসে পরিচালনা কমিটি প্রায় ৩০ লাখ টাকা দেনা করে বাগান চালিয়ে ছিলেন। সেই টাকাও পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাগানের প্রত্যেক শ্রমিককে ১ হাজার টাকা প্রনোদনা দেয়া হলেও বাগান থেকে তাদেরকে কোন সহযোগিতা করা সম্ভব হয়নি। বিজ্ঞপ্তি