বিশ্বনাথ পৌর মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানের লড়াই এখন আদালতে

2

আব্দুস সালাম, বিশ্বনাথ

সিলেটের বিশ্বনাথের পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. নুরুল হক। তিনি পৌর এলাকার জানাইয়া (দক্ষিণ মশুল্লা) গ্রামের হাজী আব্দুল আলীর ছেলে। বুধবার সকালে সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলা দায়ের করা হয় (মামলা নং-১৬০)। মামলায় একমাত্র অভিযুক্ত করা হয় বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান। তিনি উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের মৃত কলমদর আলীর ছেলে। এছাড়াও মামলায় আরও ২/৩জন অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি আজিজুর রহমান সুমন। মামলার এজহার থেকে জানা যায়, বাদি নুরুল হক নিজেকে বিশ^নাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক দাবি করে আরজিতে উল্লেখ করেন, গত ২০ আগস্ট দিবাগত রাত ১০টায় ও এর আগেও পরে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়াকে মেয়র মুহিবুর রহমান এর আইডি থেকে নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য রাখেন। এজহারে বলা হয় উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়া ‘সে মদ খেয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ এবং সে আমার শরীর মালিশ করত, পা টিপত, মুহিত সাবের পা (সাবেক অর্থমন্ত্রী) টিপা শুরু করে নৌকা নিয়ে কেন্দ্র দখল করে চেয়ারম্যান পাশ করেছে। নুনু মিয়া নাকি অশিক্ষিত, ফাইল-টাইল কিছু পড়তে পারেনা, অফিসাররা যা দেয় তাতে দস্তখত করে দুর্নীতি করছে। টিউবওয়েলের টাকা মেরেছে, এডিসি এসে তদন্ত করেছে। একটি টিউবওয়েলে ২৫ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়। আসামি মুহিবুর রহমান ফেইসবুক লাইভে বলে এই চুরটাকে হটাতে হবে। আওয়ামীলীগের উপদপ্তর হিসিবে এসএম নুনু মিয়া আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হওয়ায় নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে অসত্য মানহানীকর বক্তব্য ফেসবুকে আপলোড করায় আওয়ামীলীগের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হওয়ায় তিনি নিজে বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। স্বাক্ষীগণের সাথে আলোচনা করেছেন। মামলার স্বাক্ষীরা হচ্ছেন, এসএম নুনু মিয়া, উপজেলা আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, বিশ^নাথ পৌর আওয়ামীলীগের আহবায়ক আব্দুল জলিল জালাল, যুগ্ম আহবায়ক আলতাব হোসেন।
মামলার বাদির আইনজীবি আজিজুর রহমান সুমন জানান, আদেশের বিষয়টি আদালত থেকে জানতে পারবেন, তবে, শুনেছি পিবিআইকে তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিলের কথা বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাদি নুরুল হক মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মাননীয় আদালত আমার অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিলের আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, মামলা দায়েরের বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়ার জানা রয়েছে।
বিবাদী পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের বিষয়টি আমার জানা নেই এবং জানাইয়া গ্রামের নুরুল হক আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের কোন কারনও নেই।