৯ দিনে ৮ হাজার কোটি টাকার রেমিটেন্স ॥ উৎসবে অর্থনীতি চাঙ্গা

11

কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনাভীতি কাটিয়ে মানুষ শামিল হচ্ছে জীবিকার মিছিলে। আর সরকারের নিষেধাজ্ঞা শিথিলের কারণে ক্রমেই গতি ফিরছে দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে। ঈদুল ফিতর কেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য, অভ্যন্তরীণ গণপরিবহন সচল থাকায় অর্থনীতিতে পাণসঞ্চার হয়েছে। এবার উৎসবের অর্থনীতিতে চাঙ্গাভাব এনেছে রেকর্ড পরিমাণ পবাসী আয়। রফতানি ও রাজস্ব আয় ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। পুঁজিবাজারে মহাধসের এক দশক পর খুশির ঈদ উদ্যাপন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ গত কয়েক বছরের হারানো পুঁজির প্রায় পৌনে ২ লাখ কোটি টাকা ফিরে পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও শক্ত অবস্থানে আছে। করোনা অর্থনীতির নানা খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করলেও তুলনামূলক শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে দেশের কৃষিখাত। তবে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান এখনও নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। সে কারণে অর্থনীতি স্বাভাবিক গতিতে ফিরতে আরও সময় লাগবে। এর জন্য কার্যকর করোনা মোকাবেলার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোয় নীতি সহায়তা জোরদার এবং পণোদনা প্যাকেজ দ্রুত বাস্তবায়ন করার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, লকডাউনে কলকারখানা ও ব্যবসাপতিষ্ঠান খুলে দিয়ে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সচল করে দেয়ায় অর্থনীতির কালো মেঘ কেটে যাচ্ছে।
জানা গেছে, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে পথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার ঘোষণা দেয় সরকার। করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় গত বছর টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে জরুরী সেবা, কাঁচাবাজার, নিত্যপণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া সব বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য সঙ্কুচিত হওয়ায় চাপের মুখে পড়ে অর্থনীতি। পরে সরকারী খাতের নানা পণোদনা ও বেসরকারী খাতের সার্বিক পচেষ্টায় অর্থনীতি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়ায়। এর মধ্যে আবারও শুরু হয়ে যায় করোনার দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ। এ সংক্রমণ ঠেকাতে বর্তমানে চলছে লকডাউন। কিন্তু গত বছরের মতো সবকিছু বন্ধ করে না দিয়ে শিল্পকারখানা খোলা রাখা হয়েছে। অর্থনীতি বাঁচাতে লকডাউনের মধ্যেই ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট, দোকানপাট, শপিংমল খুলে দেয়া হয়। সচল রাখা হয় অভ্যন্তরীণ গণপরিবহন।
ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসা ॥ বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির হিসাবে, এবার ঈদুল ফিতরের সময় ৫ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়। করোনার মধ্যে এই ঈদে কাক্সিক্ষত বিক্রি না হলেও ব্যবসা আবার চালু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে। সব মিলিয়ে ১৯ দিন দোকান খোলা রাখতে পেরেছিলেন দোকানিরা। রাজধানী ছাড়াও ঢাকার বাইরে বিভাগ ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে শেষ মুহূর্তে ছিল ঈদের কেনাকাটার আমেজ। লকডাউনের কারণে এবার অনলাইন পণ্য বিক্রি আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি বলে এ খাতের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন। সরকারের লকডাউন শিথিলের কারণে ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন বলে জানালেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, রমজান এবং ঈদকে কেন্দ্র করে সাধারণত ২০-২২ হাজার কোটি টাকার বেচাবিক্রি হয়। এবার সেটা ৪ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে। বাংলাদেশে মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল জানান, ‘ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এবার অনলাইনে কার্ডের মাধ্যমে কেনাকাটা বেড়েছে। এ ছাড়া গ্রোসারি, হোম এ্যাপ্লায়েন্সসহ নিত্যপয়োজনীয় অন্য জিনিসপত্রের অনলাইন কেনাকাটাও ক্রমে বাড়ছে। আশা করা যাচ্ছে, এই লেনদেনের পরিমাণ খুব শীঘ্রই আরও স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’ ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশন ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, ‘নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ক্রেতাদের কাছে সেবা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ক্রেতাদের সুবিধা এবং উদ্যোক্তাদের সুবিধা দুটিই আমাদের দেখতে হয়েছে। শুধু ডিজিটাল হাট প্ল্যাটফর্ম ঘিরে পচুর পরিমাণে নতুন অনলাইন উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে।’
রেমিটেন্সে রেকর্ড ॥ বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের পকোপের মধ্যেও ঈদুল ফিতরের আগে মাত্র ৯ দিনে ৯১ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন পবাসীরা। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ পায় ৮ হাজার কোটি টাকা। গত এপিল মাসে পবাসী বাংলাদেশীরা ২০৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার (২ দশমিক ০৬ বিলিয়ন) রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৭ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে পায় ৯০ শতাংশ বেশি। গত বছর এপিলে দেশে রেমিটেন্স এসেছিল ১০৯ কোটি ডলার। আয়ের এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের সময়োপযোগী ২ থেকে ৩ শতাংশ নগদ পণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের পভাব রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে রেমিটেন্সের পাশাপাশি রেকর্ড গড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। চলতি মাসে আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৪৪ বিলিয়ন ডলার। বেসরকারী গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘ঈদ আর সঙ্কটকালে রেমিটেন্স বেশি আসে। করোনায় অনেক মানুষ চাকরি হারাচ্ছে। মানুষের আয় কমে গেছে। ফলে পবাসীরা নিজে না খেয়েও পরিবারের জন্য বেশি বেশি রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন। করোনাকালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে বেশি রেমিটেন্স এসেছে। আবার অনেকে পবাসেও চাকরি হারিয়ে দেশে ফেরার পস্তুতি নিচ্ছেন। তাদের একটি অংশ সঞ্চিত অংশ ফেরত পাঠাচ্ছে। ভবিষ্যতে নতুন কর্মসংস্থান না বাড়লে রেমিটেন্সে নেতিবাচক পভাব পড়বে।’
কৃষি ও সেবা খাত ॥ করোনাকালে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বড় ভূমিকা রেখে চলেছে কৃষি। মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ১৫.৪৪ শতাংশ অবদান কৃষি ও সেবা খাতের। কৃষিপণ্য রফতানি থেকে চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) পথম ১০ মাসে আয় হয়েছে ৮২ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। কর্মসংস্থানেও বড় ভূমিকা রাখছে খাতটি। আয় কমে যাওয়ায় শহরত্যাগী মানুষগুলোকেও ধারণ করেছে গ্রামীণ অর্থনীতি।
ইতিবাচক ধারায় রফতানি আয় ॥ চলতি অর্থবছরের শুরুতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের রফতানি খাত। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) পথম ১০ মাসে পণ্য রফতানি করে ৩ হাজার ২০৭ কোটি ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে পবৃদ্ধি হয়েছে ৮.৭৪ শতাংশ। যদিও এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪.৬৩ শতাংশ কম। একই সঙ্গে তৈরি পোশাক রফতানি আয়ে ৬.২৪ শতাংশ পবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। তৈরি পোশাক পস্তুত ও রফতানিকারকদের সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘কারখানা খোলার ব্যাপারে সরকারের সঠিক, চ্যালেঞ্জিং ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণেই আমরা রফতানিতে বড় সুফল পাচ্ছি।
আমদানিতে পবৃদ্ধিতে ফিরেছে বাংলাদেশ ॥ চলতি বছরের পথম দুই মাসে আমদানি খাতে বেশ ভাল পবৃদ্ধি হয়েছে। পথম মাস জানুয়ারিতে গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে বেড়েছে ১৮ শতাংশ। এছাড়া, গত বছরের শেষ দুই মাস নবেম্বর ও ডিসেম্বরে পবৃদ্ধি হয়েছিল যথাক্রমে ২ দশমিক ৫৫ ও ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। চার মাসের এই পবৃদ্ধির কারণে অনেক দিন পর সার্বিক পণ্য আমদানিতে পবৃদ্ধিতে ফিরেছে বাংলাদেশ। আমদানি-সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের পথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) মোট ৪ হাজার ৬ কোটি ৮৭ লাখ (৪০.০৬ বিলিয়ন) ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়েছে। এই অঙ্ক গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে পায় ২ শতাংশ বেশি।
রাজস্ব আদায় বেড়েছে ॥ চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে এক লাখ ৭৮ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অর্থবছরের পুরোটা সময় কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে কাটলেও জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত নয় মাসের এই আদায় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত আদায় হয়েছিল এক লাখ ৬৬ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। দেশের পধান রাজস্ব সংগ্রহের দায়িত্বপাপ্ত পতিষ্ঠান এনবিআরের সর্বশেষ পতিবেদন অনুযায়ী একক মাস হিসেবে মার্চে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৫ হাজার ১৮৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এটি আগের অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় পায় ২৩ শতাংশ বেশি। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ চিহ্নিত হওয়ার ওই মাসে (মার্চ ২০১৯-২০) আদায় হয়েছিল ২০ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ২৯ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ৩ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনবিআরের সংশ্লিষ্ট একজন উর্ধতন কর্মকর্তা।
এক দশক পর বিনিয়োগকারীদের খুশির ঈদ ॥ পুঁজিবাজারে মহাধসের এক দশক পর খুশির ঈদ উদ্যাপন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ গত কয়েক বছরের হারানো পুঁজির পায় পৌনে ২ লাখ কোটি টাকা ফিরে পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। যার বেশিরভাগই এসেছে গত দুই মাসের (এপিল-মে) মধ্যে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য মতে, ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক পতিষ্ঠানসহ অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় গত এক বছরে ডিএসইর পধান সূচক (ডিএসইএস) এক হাজার ৭৪২ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার সাত পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সূচকের সঙ্গে বেড়েছে বেশিরভাগ শেয়ারের দাম। তাতে বিনিয়োগকারীদের লেনদেন বেড়েছে পায় পাঁচ গুণ। ডিএসই ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) পেসিডেন্ট শরীফ আনোয়ার হোসেন বলেন, এবারই রোজার মাসে পুঁজিবাজার ভাল ছিল, ব্যবসাও হয়েছে। এ মাসের লেনদেনে বিনিয়োগকারীর পাশাপাশি ব্রোকার হাউসের মালিকরাও খুশি। তার কারণ গত কয়েক বছর ধরে অনেক ব্রোকার হাউস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-বোনাস দিতে পারেননি। এবার বেতন-বোনাস দিয়েছে পুঁজিবাজারের টাকা থেকে।
যেসব খাতে গতি ফেরাতে হবে ॥ বিদেশী বিনিয়োগ, বৈদেশিক বাণিজ্য, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এসব ক্ষেত্রে নেতিবাচক ধারা চলছে। এ ছাড়া ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ বেড়েছে। কমেছে বেসরকারী খাতে ঋণ পবৃদ্ধি। অর্থনীতি ও বিনিয়োগ বিশ্লেষক মামুন রশীদ বলেন, ‘বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটি টাস্কফোর্স করে ব্যবসার পরিবেশ দ্রুত উন্নত করতে হবে।’
অর্থনীতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে ॥ অর্থনীতিবিদ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘অর্থনৈতিক কর্মকা- স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে আরও কার্যকরভাবে করোনা মোকাবেলা করতে হবে।’ তিনি বলেন, যারা কাজ হারাচ্ছেন তাদের আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তার পকল্পগুলোকে আরও জোরদার করতে হবে এবং বণ্টনের ক্ষেত্রে যাতে দুর্নীতি না হয় সেটি দেখতে হবে। এ ছাড়া আস্তে আস্তে উৎপাদনব্যবস্থা পুরোপুরি সচল করতে হবে এবং অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক চাহিদা বাড়াতে হবে।