সুরমা তীরে বর্ষ বিদায়ী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ॥ বিগত বছর আমাদের কাছে ছিল প্রাপ্তি ও সাফল্যের

23
চাঁদনীঘাট সুরমা নদীর পারে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ আয়োজিত চৈত্র সংক্রান্তি ও ১৪২৫ বাংলাকে বিদায় এবং নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠানে শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশনা।

স্টাফ রিপোর্টার :
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেটের আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী চাঁদনীঘাট সুরমা নদীর পারে বিগত বছর সমূহের ন্যায় চৈত্র সংক্রান্তি ও বর্ষ বিদায়- বর্ষ বরণ আয়োজনে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, বিদায়ী বছর ছিল আমাদের সকলের কাছে প্রাপ্তি ও সাফল্যের। বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত তার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্যকে রক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বিগত বছরে আমরা যা অর্জন করতে পারিনি নতুন বছরে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে শুভ প্রত্যাশায় আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে ধর্ষণকারী ও সমাজে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে এক হয়ে কাজ করার অনুরোধ জানান।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের পরিচালনায় মঙ্গল প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলনকালে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ভবতোষ রায় বর্মণ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ব্যারিষ্টার মোঃ আরশ আলী, আল-আজাদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. হিমাদ্রী শেখর রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মোঃ আসলাম উদ্দিন, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সহ-সভাপতি মুকাদ্দেছ বাবুল, পররাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়ের ব্যক্তিগত সহকারী জাবেদ সিরাজ প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাপস দাস পুরকায়স্থ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার কামরুল আমিন, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সিলেট বিভাগীয় সভাপতি অনিল কিষণ সিংহ, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমেদ চৌধুরী মিশু, সহ-সভাপতি অধ্যাপক উজ্জল দাস, যুগ্ম সম্পাদক সুপ্রিয় দেব শান্ত, কোষাধ্যক্ষ ইন্দ্রানী সেন, কার্যনির্বাহী সদস্য ফারজানা সুমি, জয়ন্ত দাস।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে মঙ্গল প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলনের পর প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। বিকেল সাড়ে ৪টায় বিপুল সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে সম্মিলিত নাট্য পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠানে অংশ নেন গ্রীণ ডিজএ্যাবল ফাউন্ডেশন, ছন্দ নৃত্যালয়, একাডেমী ফর মণিপুরী কালচারাল এন্ড আর্টস্, প্রান্ত পারিজাত, বাংলাদেশ উদীচি শিল্পীগোষ্ঠী, নগরনাট, সিলেট।
সুরমা নদীর পাড়ে ব্যতিক্রমী এ আয়োজনে সকল বয়সের মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তুলে। বছরে একবার চাঁদনীঘাটের ঐতিহ্যবাহী সিঁড়িতে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পেরে দর্শকরা উচ্ছ্বসিত। সঙ্গীত ও নৃত্যে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলতে থাকে। অনুষ্ঠানে অতি সম্প্রতি নির্মমভাবে ধর্ষণের পর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা নুসরাত জাহান রাফির হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।