আজ থেকে সব জেলায় চলবে গণপরিবহন

9

কাজিরবাজার ডেস্ক :
স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ থেকে ঢাকা মহানগরসহ সব জেলা শহরে গণপরিবহন চলবে বলে জানিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। বুধবার সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক- আজ বৃহস্পতিবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা মহানগরসহ সব জেলা শহরের মধ্যে গণপরিবহন চলাচল করবে। তবে মালিক সমিতি বা পরিবহন কোম্পানির নেতাদের কিছু নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- মাস্ক ছাড়া কোন যাত্রী গাড়িতে উঠতে পারবেন না এবং গাড়ির স্টাফদের জন্য মালিককে মাস্ক সরবরাহ করতে হবে। গাড়িতে সিটের অর্ধেক যাত্রী বহন করতে হবে। অর্থাৎ ২ সিটে ১ জন যাত্রী বসবেন। এছাড়া লকডাউনে মালিক-শ্রমিকেরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এক্ষেত্রে রুট মালিক সমিতি বা পরিবহন কোম্পানির জিপির নামে গাড়ি থেকে কোন প্রকার অর্থ আদায় করা যাবে না। জেলা শহর বোঝানো হয়েছে, জেলার ভেতরে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। যেমন- ঢাকা জেলার মধ্যে থাকতে হবে। তবে লঞ্চ এবং ট্রেন বন্ধ থাকবে। যেহেতু ওগুলো এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যায়। সুতরাং বন্ধ থাকবে।
এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গণপরিবহন চালু করার ঘোষণায় শ্রমিকদের মাঝে নেমে এসেছে স্বস্তি। রাজধানীর বাসচালকদের সঙ্গে কথা বলে স্বস্তি ও ক্ষোভের কথা জানা যায়। বলাকা পরিবহনের বাসচালক সাহিদ বলেন, আমরা দিন আনি দিন খাই। আমরা কারো কাছ থেকে কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতাও পাইনি। কোম্পানিও কোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করেনি। ধারদেনা করে লকডাউনে চলেছি। শুনেছি ৬ মে থেকে বাস চলাচল করবে। তখন বাস চালিয়ে ধারদেনা পরিশোধ করতে হবে। করোনার কারণে আমাদের প্রতিবেশী দেশের অবস্থা খুব খারাপ। আমাদের দেশের অবস্থাও বেশি ভাল না। সরকার যদি পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ডাল-ভাতের ব্যবস্থা করে এক মাস গণপরিবহন বন্ধ রাখে তাতেও আমাদের সমস্যা নেই।
আজমেরীর চালক মাসুদ বলেন, লকডাউনে ধারদেনা করে চলছি। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আমার যে ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতি তো আর পূরণ হবার নয়। সরকার যে কদিন বাস চালানোর ঘোষণা দিয়েছে এর মধ্যে তিন থেকে চার দিন বাস চালাতে পারব আর বাকি কয়দিন বসে থাকতে হবে। যদি সরকার আবার গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেয় তখন চুরি-ছিনতাই করা ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না। মান-সম্মানের ভয়ে চুরি ছিনতাইও করতে পারব না।
এ বিষয়ে টেম্পো চালক নূর ইসলাম বলেন, লকডাউনে লুকিয়ে লুকিয়ে সকালে আর বিকেলে টেম্পো চালিয়েছি। এতে যা রোজগার হয়েছে- এতে ঠিকমতো চলতে পারি নাই। ধারদেনা করতে হয়েছে। পরিবহন চলার ঘোষণায় ঈদের আগ পর্যন্ত কোনমতে চলতে পারব।