বালাগঞ্জে চৌধুরী বাজারের নাম পরিবর্তনের পাঁয়তারায় ক্ষোভ

16

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়নের মুসলিমাদ গ্রামে গড়ে ওঠা চৌধুরী বাজারের নাম পরিবর্তনের পাঁয়তারা করায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বাজারের নাম পরিবর্তনের হীন উদ্দেশ্যে স্থানীয় কথিপয় ব্যক্তিগণ সম্প্রতি বিভিন্ন দফতরে আবেদন দিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বৃহত্তর স্বার্থে ও সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিকরণে চৌধুরী বাজার নামে অনুমোদন প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৯ সাল থেকে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট একাধিকবার আবেদন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় চৌধুরী বাজার নামে হাট বাজার অনুমোদনে ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রশাসনিক বিভিন্ন দফতর এবং ২০২০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত আবেদন দেয়া হয়।
লিখিত আবেদনে বলা হয়েছে, চৌধুরী বাজার ও আশপাশের প্রায় ৯৫ ভাগ ভূমি মুসুলমাবাদ গ্রামের চৌধুরী পরিবারের মালিকানাধীন। কায়স্থঘাট মৌজার অন্তর্ভুক্ত জেএল নং- ২৩৭ এর ১৫০০ ও ১৯৩০ নং খতিয়ান হতে ০.০৭০০ একর ভূমি চৌধুরী বাজারের নামে রেজিস্ট্রি (সাফ কবালা) করে দিয়েছেন ভূমি মালিকগণ। বাজারের বিভিন্ন অংশে হাবিব কমপ্লেক্স, জামাল মার্কেট, লাবিব কমপ্লেক্স, আনহার মার্কেট, রুহেল মার্কেট, আখতার মার্কেট ও আসমা কমপ্লেক্সসহ বেশ কয়েকটি ছোটবড় মার্কেট বিদ্যমান রয়েছে।
ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক মিটারের বিদ্যুৎ বিলে চৌধুরী বাজার উল্লেখ রয়েছে। পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টার’র হাট-বাজারের তালিকায় এটি ‘চৌধুরী বাজার’ নামে নামকরণ রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চৌধুরী বাজার নামে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এমনকি; গুগল ম্যাপেও বাজারটির নাম চৌধুরী বাজার নামে প্রদর্শিত হচ্ছে।
চৌধুরী বাজারে ন্যায্য মূল্যের ফার্মেসী, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা, রেস্টুরেন্ট, ওয়ার্কশপ, টেইলার্স, লাইব্রেরী, গিফ্ট সামগ্রী, প্লাস্টিক পণ্যের দোকান, মুদির, কাপড় ও জুতার দোকান এবং স্থায়ী কাঁচামালের দোকানসহ প্রায় শতাধিক দোকান-পাট রয়েছে। এদিকে বাজারের নামকরণ নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে কথিপয় স্বার্থন্বেষী মহল বিগত দিনে চৌধুরী বাজারের অতি সন্নিকটে জনৈক ব্যক্তির নামে অবৈধভাবে একটি সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে রাখা হয়। অবৈধ সাইনবোর্ড অপসারণের জন্য ২০১৮সালের ২৫নভেম্বর মুসলিমাবাদ গ্রামের লোকজন সিলেটের ডিসির নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।
চৌধুরী বাজারের ব্যবসায়ী শফিক মিয়া ও জামি চৌধুরী বলেন, ডিসির কাছে আবেদন দেয়ার পর জনৈক ব্যক্তির পক্ষ থেকে চৌধুরী পরিবারের বিরুদ্ধে নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে বাজারের নামকরণ নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। বাজারের নামকরণ নিয়ে অপপ্রচারের ও নানামূখী ষড়যন্ত্রের কারণে সাপ্তাহিক হাট না বসায় বাজারের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। চৌধুরী বাজার নামকরণ স্বীকৃতির চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদানে সংশ্লিষ্ট দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হয়েছে।