পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে করোনা, কড়া পদক্ষেপের পথে সরকার

8

কাজিরবাজার ডেস্ক :
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আট দফার নির্বাচনের সবেমাত্র শেষ হয়েছে চার দফা। এখনও আরও চার দফার ভোট বাকি।
তারমধ্যে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। দৈনিক শনাক্ত ইতোমধ্যেই ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এ নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য কর্তাদের উদ্বেগ বাড়লেও এ বিষয়ে একপ্রকার উদাসীন রাজ্যবাসী। রীতিমতো স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় তুলে রাজ্যে চলছে মিছিল, মিটিং সবই। প্রার্থী থেকে নেতা, কর্মী থেকে সমর্থক অধিকাংশই যেন করোনাকে কেয়ার করছেন না। বিধি মানার প্রয়োজনই মনে করছেন না রাজনৈতিক দলসহ জনসাধারণের একাংশ। সুযোগ বুঝে ডানা মেলছে করোনা ভাইরাস। আর এই গা ছাড়া মনোভাবের কারণে পশ্চিমবঙ্গের করোনার অবস্থা ভয়াবহ বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে জেলাগুলোর জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা যায়, এই বৈঠকেই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে প্রশাসনিক ভবন নবান্ন এবং তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জারি করতে হবে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যের যেসব জেলায় ভোট মিটে গিয়েছে সেই সব জেলায় করোনা বিধি নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে পুলিশকে। আর যেখানে ভোট বাকি সেখানে রাজনৈতিক দলগুলো প্রচারের অনুমতি চাইতে এলে তা দেবে কি না তার সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন। রাজ্যের বাজারগুলো এবং জনবহুল এলাকায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জনবহুল এলাকায় ভিড় নিয়ন্ত্রণে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ভিড় কমানোয় নজর দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে করোনা সচেতনতা বাড়াতে প্রচারের দিকে নজর ছিল রাজ্য সরকারের। তবে করোনার গ্রাফ নিম্নগামী হলে প্রচার বন্ধ ছিল। সে বিষয়ে ফের জোরদার প্রচার বাড়াতে হবে বলে নবান্নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ইতোমধ্যে কলকাতা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, মাস্ক ছাড়া মেট্রোয় উঠলে জরিমানা করা হবে। সংক্রমণের রাশ টানতে কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং কোভিড হাসপাতালগুলোর ২০ শতাংশ পরিকাঠামো বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরসঙ্গে প্রতিটা হাসপাতালে অস্কিজেনের সিলিন্ডারের সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৩৯৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।