ভাটেরা ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন ॥ টিলা কাটার অভিযোগ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

10

স্টাফ রিপোর্টার :
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ এ কে এম নজরুল ইসলাম তাঁর বিরুদ্ধে টিলা কেটে পরিবেশের ক্ষতি সাধনের অভিযোগকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। শনিবার বিকেলে নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে নজরুল ইসলাম বলেন, ভাটেরা ইউনিয়নের ইসলাম নগর গ্রামে প্রায় ১১ শ’ ভোটারের বসবাস। এই গ্রামে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিলো না। ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়ার জন্য তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরবর্তী স্কুলে লেখাপড়া করতে যেতো। ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে আমার খরিদা সম্পত্তি ইসলাম নগর মৌজায় (দাগ নং-২৭৫/২০১) টিলারকম ভূমির উত্তর অংশে সমতল ভূমিতে ২০১৮ সালে নিজ অর্থায়নে সৈয়দ সাজিদ পিয়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি স্কুল ও শাহজালাল শাহ্পরান নামে একটি জামে মসজিদ নির্মাণ করি। বর্তমানে এই স্কুলে প্রায় ২৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে এবং উক্ত স্কুলের শিক্ষক ও মসজিদের ইমামের যাবতীয় বেতন-ভাতা প্রদান করে আসছি। স্কুল ও মসজিদ নির্মাণ করে উক্ত জায়গা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে রেজিষ্ট্রি করে দিয়ে আমি ভোগ দখল ত্যাগ করি।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে অতি বৃষ্টির কারণে স্কুলের দক্ষিণ পাশে, স্কুলের টিলা রকম ভূমি ধসে স্কুল ও মসজিদের দেওয়ালে আঁচড়ে পড়ে এবং স্কুলের দেওয়াল ও জানালার ক্ষতি সাধিত হয়। স্কুল ও মসজিদের দেওয়ালে টিলা ধসে পড়া মাটি এলাকার লোকজন অপসারণ করেন এবং আমি উক্ত ক্ষতি সাধিত দেওয়াল নিজ অর্থায়নে পুন:নির্মাণ করে দেই। কিন্তু একদল দুস্কৃতিকারীরা ধসে পড়া টিলায় রাতের অন্ধকারে কোদাল দিয়ে মাটি কেটে ধসে পড়া জায়গায় মাটি কাটার চিহ্ন তৈরি করে আমার বিরুদ্ধে মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ তৈরি করেছেন। আমি ২০১৬ সালে ভাটেরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নৌকা প্রতিক নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছি এবং গত ৫০ বছরে যে উন্নয়ন সম্ভব হয়নি তা বিগত ৫ বছরে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বরাদ্ধ দিয়ে এবং আমার নিজ অর্থ ও আমার ইউয়িন পরিষদের সকল সদস্যগণের প্রচেষ্টায় ও এলাকার সকল মানুষের সাবির্ক সহযোগিতায় উন্নয়ন করতে পেরেছি। জামাত-বিএনপি থেকে সদ্য আওয়ামীলীগে যোগদানকারী কিছু হাইব্রীড ও কুচক্রী মহল এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত করার জন্য আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।