সরকারের সমন্বয়হীনতায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে – মির্জা ফখরুল

3

কাজিরবাজার ডেস্ক :
সরকারের মধ্যে ভয়াবহ রকমের সমন্বয়হীনতা, পরিকল্পনার অভাব এবং উদাসিনতার কারণে করোনার এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনিি এ দাবি করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, লকডাউন ঘোষণার সময় একবারও ভাবা হয়নি যে যারা ইনফরমাল সেক্টরগুলোতে কাজ করে, যেমন দোকানের কর্মচারী, গণপরিবহন কর্মী, বাইক চালক- তাদের কীভাবে দিন চলবে। যারা দিন আনে দিন খায় তাদের কীভাবে দিন চলবে। এ বিষয়গুলো না ভেবে হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বিক্ষোভ হয়েছে। পরে সরকার বাধ্য হয়ে সব খুলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, লকডাউনে ব্যর্থ হওয়ার পর আজ আবার নতুন করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছেন ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন করা হবে। আমরা জানি না এই সর্বাত্মক লকডাউনের অর্থটা কী? জনগণও জানে না। বিকল্প কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কেও জনগণ জানে না।
‘রোজার সময়ে সর্বাত্মক লকডাউন কীভাবে সমন্বয় করা হবে, সে সম্পর্কেও কোনো রোডম্যাপ দেওয়া হয়নি। আমরা এটাও দেখিনি যে এ বিষয়ে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা মন্ত্রী সুস্পষ্ট নির্দেশনা নিয়ে জনগণের সামনে উপস্থিত হয়েছেন। ’
তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছি এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষা করা। আমরা সরকারকে আহ্বান করবো, প্রতিটি ইনফরমাল সেক্টরের যারা উদ্যোক্তা তাদের যথেষ্ট পরিমাণ প্রণোদনা দিতে হবে। বিশেষ করে যতদিন লকডাউন থাকবে। এছাড়া একেবারে যারা দিন আনে দিন খায় তাদের ত্রাণ সহায়তা দিতে হবে। আসুন আমরা জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে এ সংকট মোকাবিলায় উদ্যোগী হই। মানুষ বাঁচাই-দেশ বাঁচাই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই মহামারি থেকে রক্ষা পেতে হার্ড ইমিউনিটি আনতে কমপক্ষে সাড়ে ১২ কোটি মানুষকে টিকা দিতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রশ্ন হলো সাড়ে ১২ কোটি টিকার এখন পর্যন্ত কোনো সংস্থান হয়নি। দেখলাম সরকার চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা আনার কথা ভাবছে। এখন ভাবছে, এখনতো এই মুহূর্তে দরকার। কিন্তু সেটা তারা পারছে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কিছুদিন ধরেই বিএনপিকে জড়িয়ে নানা রকম কথা বলছেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা মনে করি অযথা বিরোধীদল ও বিএনপি জড়িয়ে এসব কথাবার্তা না বলে করোনা কীভাবে মোকাবিলা করবেন সে বিষয়ে চিন্তা করেন এবং দেশের মানুষকে যদি বাঁচাতে চান বাঁচানোর যদি পথ দেখাতে চান তাহলে সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিন। দেশে একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন।