জকিগঞ্জে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

13

জকিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
জকিগঞ্জে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। ওই ছাত্রী এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি সোমবার রাতে ঘটেছে।
নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের অভিযোগ- গত সোমবার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে স্থানীয় জোবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ঘরের বাইরে বের হলে পাশের বাড়ির মৃত আকতার আলীর ছেলে সালমান আহমদ (১৮) ও তার সহযোগিরা ওই ছাত্রীকে ধরে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে অচেতন অবস্থায় তাকে বাড়িতে রেখে যায় সালমান ও তার সহযোগিরা। ঘটনার পর বিষয়টি গোপন রাখতে ওই ছাত্রীর পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি শুরু করেন গ্রামের মেম্বারসহ কয়েকজন প্রভাবশালী। সেনাপতিরচক গ্রামের মৃত ফজই মিয়ার ছেলে হেলাল আহমদ, স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য সামছুল হক, রারাইগ্রামের মৃত আব্দুল জলিল টরইর ছেলে হাফিজ খালেদ ঘটনাটি ধামাচাপার চেষ্টা করে বিচার-সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি দেখে দেবেন বলেন।
নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা জানান, ওই তরুণীর অধিক রক্তক্ষরণের কারণে পরে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে মেয়েকে ভর্তি করতে হয়েছে। এতে ঐ প্রভাবশালীরা ক্ষেপে গিয়ে নির্যাতিতার বোনের জামাইকে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে অপমান ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরে আবার প্রভাবশালীরা ধর্ষকের পরিবার দিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ দায়েরও করিয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপি মেম্বার সামসুল হক বলেন, তিনি ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাননি। তবে তার বাড়িতে ঘটনাটি নিয়ে দুটি বৈঠক হয়েছে। তিনি দাবি করেন, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন সেনাপতিরচক গ্রামের মৃত ফজই মিয়ার ছেলে হেলাল আহমদ ও রারাই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল টরইর ছেলে হাফিজ খালেদরা।
বৈঠকে নির্যাতিতার বোনের জামাইকে মারধর করার বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে তিনি বলেন, নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়েছে মাত্র।
মেয়েটির পরিবারকে আইনি সহায়তা না দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে- এমন বিষয়ে বলেন, যারা ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলো তারাই ভালো জানে কী কারণে নির্যাতিতার পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাসেম জানান, মেয়ের পরিবার অভিযোগ নিয়ে থানায় আসছে। অভিযোগ দায়েরের পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।