জলবায়ু পরিবর্তন

4

আমাদের দেশে প্রকৃত সচেতনতার অভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা সঠিকভাবে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছি। আমরা যখন প্রাকৃতিক কোনো ধরনের দুর্যোগের সম্মুখীন হই তখনই সর্বক্ষেত্রে যতসব দৌড়ঝাঁপ শুরু করে থাকি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে সভা-সমাবেশ, ব্যাপক আলোচনা, শলা-পরামর্শের শেষ থাকে না। কিন্তু দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পর এ সব শলা-পরামর্শে যতসব উদ্যোগ- উদ্দীপনায় ভাটা পড়ে যায়। দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে প্রাকৃতিক দুর্যোগ টেকাতে জলবায়ু পরিবর্তন টেকানোই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা।
বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছেন। দেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষ্যে বিশ্বের দরবারে অনেক প্রস্তাব করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৈশ্বক উষ্ণয়ন, জলবায়ু পরির্বতন আমাদের ও উপমহাদেশের দেশগুলোকে সবচেয়ে বেশী নাজুক করে তুলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনে আমাদের ভূমিকা না থাকলেও আমরাই সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান ধারা বন্ধ করা রা গেলে অভিযোজন প্রক্রিয়া দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হবে। প্রধানমন্ত্রী আরোও বলেন, “আমরা এমন একটি অঞ্চলে বসবাস করি, যা প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকা হিসাবে বিবেচিত। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশগুলো যেমন ভূমিকম্প, বরফ ধস, অতিবৃষ্টি, খরারমত দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়।
যদিও ১৯৫১ সালের ২৩ মার্চ প্রতিষ্ঠিত আবহাওয় দিবস হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করলে, বর্তমানে সারা বিশ্বে এ দিনে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। সারা বিশ্বের ১৯১টি দেশ বিশ্ব সংস্থার সদস্য। আমাদের দেশ ও এ সংস্থার অন্যতম সদস্য। বিশ্ব সংস্থার মত আমাদের দেশ জলবায়ু ও আবহাওয়া পরিবর্তন রোধে কাজ করছে। আমাদের সকলের একমাত্র প্রত্যাশা প্রাকৃতিক দুর্যোগ রোধে আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সক্রিয় হতে হবে।