রশিদপুরে ৭টি স্পিড বাম্প স্থাপন

57

কাজিরবাজার ডেস্ক :
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রশিদপুর বাজারে প্রাণ রক্ষায় অবশেষে স্থাপন করা হলো ‘স্পিড বাম্প’ (উঁচু ও অপ্রশস্ত গতিরোধক বাঁধ)। স্থানীয়দের আন্দোলনের মুখে গত ১১ মার্চ (বুধবার) রাতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ রশিদপুরে মোট ৭টি ‘স্পিড বাম্প’ স্থাপন করে। এর মধ্যে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ৬টি ও রশিদপুর-বিশ্বনাথ আঞ্চলিক সড়কে একটি।
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রশিদপুর বাজার। মহাসড়কে চলাচলকারী ও স্থানীয়দের কাছে এ বাজার মূর্তিমান আতঙ্কের স্থান। কখন ঘটবে দুর্ঘটনা, কে হারাবে প্রিয়জন তার কোনো দিনক্ষণ নেই।
প্রাণহানি এড়াতে দুর্ঘটনাপ্রবণ রশিদপুর বাজারে গোলচত্বর নির্মাণ করে এ স্থানের দুদিকে সড়ককে প্রশারিত করার দাবি দীর্ঘদিনের। স্থানীয়রা এ দাবি আদায়ে বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত-মৌখিকভাবে বার বার আবেদন করেও কোনো ফল পাননি। কিছুদিন পর পরই রশিদপুর এলাকায় ঘটে দুর্ঘটনা, ঝরে তাজা একাধিক প্রাণ। কিন্তু লাশের মিছিল চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে চরম উদাসীন ছিলেন।
সর্বশেষে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে সেই রশিদপুরে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় একে একে ঝরেছে ৮টি প্রাণ। যা সিলেটের নিকট অতীতের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। এই বড় দুর্ঘটনার পর স্থানীয়দের টানা আন্দোলনের মুখে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
অবশেষে গত ১১ মার্চ রাতে রশিদপুরে পয়েন্টের দু-পাশে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ৬টি এবং পয়েন্ট এসে সংযুক্ত হওয়া রশিদপুর-বিশ্বনাথ আঞ্চলিক সড়কে আরও ১টি- এই মোট ৭টি ‘স্পিড বাম্প’ স্থাপন করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেট বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সিলেট-ঢাকা মহসড়কের দক্ষিণ সুরমার রশিদপুর পয়েন্টের সঙ্গে বিশ্বানাথ বাইপাস সড়ক সংযুক্ত। এছাড়াও মহাসড়কের এই অংশ কিছুটা বাঁকা ও বিপজ্জনক এবং এখানে রাস্তা অপ্রশস্ত। যার ফলে এ স্থানে প্রায়ই ঘটে গাড়ির দ্বিমুখী-ত্রিমুখী সংঘর্ষ। এসব দুর্ঘটনায় একাধিক প্রাণহানীর পাশাপাশি আহতের ঘটনা ঘটে অহরহ। এসব দুর্ঘটনা ঠেকাতে এবার সড়ক ও জনপথ বিভাগ রশিদপুরে ৭টি ‘স্পিড বাম্প’ স্থাপন করে দেয়া হয়েছে। আশা করি এবার থেকে এ স্থানে আর দুর্ঘটনা ঘটবে না।
তিনি বলেন, তবে সর্বোপরি চালক এবং যাত্রীদের সচেতন হতে হবে। তারা সচেতন হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা ৫০ ভাগ কমে যায়।