নিবন্ধন জটিলতায় নিম্নবিত্ত মানুষ

26

গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ করোনা মহামারির টিকার জন্যে রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে নানা ধরনের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। ফলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠির টিকা নিতে ইচ্ছা থাকলেও নিবন্ধন জটিলতার কারণে আগ্রহ হ্রাস পাচ্ছে। যদিও সাধারণ মানুষের দিন-দিন আগ্রহ বাড়ছে। শহরাঞ্চল থেকে উপজেলা কেন্দ্রিক ভ্যাকসিন প্রদান কেন্দ্র গুলোতে মানুষের ভিড় যেমন বাড়ছে, তেমনি টিকা দান প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত কয়েকদিন থেকে দেশের হাসপাতাল গুলোতে বেশির ভাগই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদদের উপস্থিতি যেমন হোক না কেন? সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। কিন্তু গ্রামীণ ও নি¤œ আয়ের গরীব, দিন-মজুর, মানুষের টিকা দেয়ার ইচ্ছা থাকলে ও নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশনের অভাবে টিকা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী হবে বলে মনে হচ্ছে।
আমদানিকৃত টিকা দ্রুত ব্যবহারের জন্য টিকা গ্রহণের বয়স ৪০ থেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। তার ফলে মানুষ লাইন ধরে টিকা গ্রহণ করছেন। সাধারন মানুষের ভয়ভীতির স্থানে এখন টিকা নিতে আগ্রহ বাড়ছে।
দেশের সাধারণ মানুষ মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে রেহাই পেতে গভীর চিহ্নিত ছিল, এ মহামারি প্রতিরোধের জন্যে বিশ্বের বৈজ্ঞানিকরা মহামারি রোধে টিকা তৈরি করে মানুষের মধ্যে টিকা প্রদান করছে। করোনা প্রতিরোধক টিকা ২৫ জানুয়ারি ভারত থেকে টিকার প্রথম চালান দেশে আসে, সম্প্রতি আরোও একটি টিকার চালান দেশে আসছে। যা দীর্ঘ দিন অব্যবহৃত অবস্থায় রাখা যাবে না। কারণ বিশেষ তাপমাত্রায় টিকা সংরক্ষণের যে বিধান রয়েছে তা টিকার কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য নিয়ম পালন করতেই হবে। কিন্তু আমাদের দেশে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদের দেশে জনসংখা বেশী থাকায় প্রতিশোধক ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা সর্বজন স্বীকৃত। তাই করোনা মহামারির হাত থেকে রক্ষায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠিসহ সর্বস্তরের মানুষকে টিকার আওতায় আনা খুবই প্রয়োজন।
আমাদের দেশের জনসংখ্যার দিক দিয়ে সংগৃহিত টিকার চেয়ে আরো ও টিকা সংগ্রহের পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। কারণ টিকা নিয়ে উন্নত ধনী দেশের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করছে, যার ফলে এসব দেশ টিকা সংগ্রহের জন্য এক অস্বাস্থ্যকর অনভিপ্রেত প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও তাদের এ মনোভাবের কারণে হতাশা ব্যক্ত করছে। তাই বাংলাদেশের জন্য টিকাদান এবং টিকা সংগ্রহের কাজ ধারাবাহিকতা রক্ষা করা উচিত। করোনা মোকাবেলা এবং টিকা সংগ্রহ ও প্রদান নিয়ে জনমনে যে সংশয় ছিল, তা এখন নেই।
দেশের সাধারণ মানুষ শেষ পর্যন্ত প্রাথমিক অব্যবস্থা ও দুর্নীতিকে পেছনে ফেলে সারাবিশ্বের বিচারে বাংলাদেশ করোনা মোকাবেলায় প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। টিকার ফল ও পাওয়া যাওয়ায় মানুষ টিকা নেয়ার দিকে এগিয়ে আসছে, প্রতিটি টিকা দান কেন্দ্রে ভীড় লক্ষণীয়।
সচেতন মহলের প্রত্যাশা করোনার মতো মহামারির হাত থেকে দেশের মানুষদের রক্ষায় সরকারের পদক্ষেপগুলো সফলতা বয়ে আনুক।