বিশ্বম্ভরপুরে বালি ও কাদামাটি দিয়ে শুরু হয়েছে বাঁধের কাজ

6

একে কুদরত পাশা সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চলতি নদীর ডানতীর উপ প্রকেল্পের কি.মি ১.৩৯৯ হতে ১.৫৫৩ কি.মি = ০.১৫৪ কি.মিঃ ও ১.৫৫৩ কি.মি: হতে ১.৭৭৭ কি.মি:=০.২২৪ ডুবন্ত বাঁধের ভাঙ্গা বন্ধকরণ, পুনরাকৃতি করণ ও মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শুরু হয়েছে পাউবো দাবি করলেও মাঠে গিয়ে দেখা যায় তা লোক দেখানো। কাজের ১ ভাগও এখনো হয়নি।
কি.মি ১.৩৯৯ হতে ১.৫৫৩ কি.মি = ০.১৫৪ কি.মিঃ এর পিআইসি সভাপতি মো. আব্দুর রশিদ, সদস্য সচিব ধন মিয়া ও ১.৫৫৩ কি.মি: হতে ১.৭৭৭ কি.মি:=০.২২৪ পিআইসির সভাপতি আব্দুল আজিজ ও সদস্য সচিব আব্দুল অদুদ বালি ও কাদামাটি দিয়ে বাঁধের কাজ শুরু করেছেন। শুরুতেই অভিয়োগের অন্তনেই এলাকাবাসীর।
গত বন্যায় এ বাঁধটি বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উজান থেকে চলতিনদী হয়ে পানি নামতে থাকলে চলতি নদীর ডানতীর রামপুর থেকে বাঁধেরটেক গ্রামের অধিকাংশ বাঁধ ভেঙ্গে পানি খরচার হাওরের পতিত হয়। এ বাঁধ শুরুকে কাজ শুরু করলেও গুণগত মান মানা হচ্ছে না।
সরেজমিনে মঙ্গলবার দুপুরে বাঁধ পরিদর্শনে যান হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে কুদরত পাশা, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসান বশির, সদস্য নাছিমা আক্তার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চলতি নদীর ডানতীর উপ প্রকেল্পের কি.মি ১.৩৯৯ হইতে ১.৫৫৩ কি.মি ৩৭ নং প্রকল্পে বাঁধের পাশ থেকেই বালি মিশ্রিত কাদা মাটি বাঁধে পেলা হচ্ছে। বাঁধের পাশে ফেলে রাখা একটি সাইন বোর্ড থেকে জানা যায়, সভাপতি মো. আব্দুর রশিদ, সদস্য সচিব ধন মিয়া। মোট বরাদ্দ ১৭ লক্ষ ৯৩ হাজার ৭৫ টাকা, মাটির পরিমান ৫ হাজার ৩ শ ২৭ ঘন মিটার।
অপরদিকে ৩৮ নং পিআইসি ১.৫৫৩ কি.মি: হইতে ১.৭৭৭ কি.মি: বাঁধের বরাদ্দ ধরা হয়েছে২০ লাখ ৩৪ হাজার ২শ ১৩ টাকা। এখানে মাটির পরিমান৬ হাজার ৭০ ঘন মিটার। ৩৮ নং প্রকল্প এলাকায় প্রায় ২০ গজ জায়গায় বালি স্তুপকরে রাখা হয়েছে। কোন সাইন বোর্ড না থাকায় বুঝা যাচ্ছিল না এটা পিআইসির কাজ কি না। এরপর আব্দুল মন্নানের বাড়েীতে গিয়ে সাইনবোর্ড পাওয়া যায়। সাইনবোর্ড এ কাজ শুরুর তারিখ ১১ জানুয়ারি লিখা থাকলেও কাজ শুরু হয়েছে ২৫ জানুয়ারি। নিয়ম মোতাবেক কাজ ১৫ ফেব্রুয়ারির শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সাইনবোর্ড এ লিখা আছে ২৮ ফেব্রুয়ারি।
মঙ্গলবার দুপুরে বাঁধ পরিদর্শন করেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক একে কুদরত পাশা, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসান বশির, সদস্য নাছিমা আক্তার।
পরিদর্শণ কালে বাঁধের কাজের অবস্থা দেখে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ সময় সাধারণ মানুষের সাথে তারা কথা বলেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, যেভাবে হাওর রক্ষা বাঁধ বালু মাটি দিয়ে করা হচ্ছে- এরকম বাঁধ নির্মাণ হলে বৃষ্টিতেই ভেঙে যাবে। তাতে এই বাঁধ হাওরের কোন কাজে আসবে না।