অবশেষে ভ্যাকসিন আসবে কি ?

4

করোনা মহামারির ভ্যাকসিন নিয়ে সকল প্রকার জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। করোনা ভাইরাস ও নতুন ভাবে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের কারণে সাধারণ মানুষ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভুগছিলেন, সেই মুহূর্তে করোনা মহামারি প্রতিরোধক ভ্যাকসিন বাংলাদেশ পাবে বলে খবর পাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। ফলে একটু দেরি হলেও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধক ভ্যাকসিন দেশের মানুষ পাবে।
বাংলাদেশের মানুষ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধক টিকা সময়মত ভারত থেকে আসবে কি-না তা’ নিয়ে চরম হতাশায় থাকলে ও আমাদের স্বাস্থ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বেক্সিমকোর দাবি এবং চুক্তি মোতাবেক যথাসময়ে ভ্যাকসিন টিকা আসবে। তবে ভারতের সিরাম উৎপাদিত যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যান্ট্রাজেনকার করোনার টিকা বাংলাদেশে যথাসময়ে আসবে কি-না এ বিষয় নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ এ টিকার উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে যুক্ত সিরাম ইনষ্টিটিউট এর মতে করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিন রফতানির শুরুর আগে আগামি দু‘ মাস তারা ভারতের স্থানীয় চাহিদা পূরণ করতে জোর দেবে। এখবর প্রচারিত হওয়ার সাথে-সাথে বাংলাদেশে নানা ধরনের গুঞ্জনের সূত্রপাত হলে সিরাম বলেছে, কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়, ভ্যাকসিন প্রক্রিয়াতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। বাংলাদেশের চুক্তি মোতাবেক যথাসময়ে টিকা আসবে কি-না তা‘নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টিকা পাওয়ার আশা প্রকাশ করলেও নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে চুক্তি মোতাবেক ভারত সরকার বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে প্রাথমিক ভাবে বাংলাদেশ টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। তবে ভারতে বাড়তে উৎপাদিত টিকা বাংলাদেশই প্রথম থেকেই পাবে। এছাড়া ও বিশেষজ্ঞ মহলের মতে; তাড়াহুড়ো না করে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রয়োগ করা উচিত। আমাদের দেশে যদি রাশিয়ার ভ্যাকসিনের ট্রায়াল করা গেলে হয়ত এত সংকট দেখা যেতো না। ১৩৫ কোটি মানুষের দেশ ভারতের ভ্যাকসিনের জন্য মুলত নির্ভর করছে তাদের নিজের দেশের উৎপাদিত ভ্যাকসিনের উপর।
আমাদের প্রত্যাশা যে ভাবে হউক ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা কল্পে উদ্যোগ নেয়া হউক।