ওসমানীনগরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, আহত ৬

4
ওসমানীনগরে সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে কয়েকজন।

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জের ধরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তবে আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজ খবর নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় মোমিনা ইলেকট্রিক নামীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঘটনাটি ঘটে। আহতরা হচ্ছেন-দয়ামীর ইউনিয়নের পশ্চিম খাইয়াকাইড় গ্রামের শফিক আলী (৬৫), তার পুত্র কায়েছ আহমদ (২৬), লায়েছ আহমদ (২৪), মাছুম আহমদ (২০), মামুন আহমদ (১৬), একই এলাকার হাজি ইছমত আলীর পুত্র লিটন মিয়া (৩৭)। এদের মধ্যে মামুন ও কায়েছ আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, শনিবার বিকালে দয়ামীর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য উত্তর শরিষপুর গ্রামের সরুজ আলীর ভাতিজা শামিমের সাথে নতুন বাজারস্থ মুমিনা ইলেকট্রিকের মালিক লায়েছ মিয়ার তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে পরবর্তীতে শামিমের লোকজন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে লায়েছ মিয়াসহ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। তাদের হামলায় লায়েছ মিয়ার বৃদ্ধ পিতাসহ তার ভাইরা আহত হন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরন করেছেন।আহতদের মধ্যে মামুন ও কায়েছের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
লায়েছ মিয়া বলেন,আমরা গরিব মানুষ ব্যবসা বাণিজ্যে করে কোনো রকম জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। ইউপি সদস্য সুরুজ আলী প্রভাবশালী থাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেম্বার সুরুজ আলীর নেতৃত্বে তার লোকজন সেলিম, শামিম, আমির আলী, সাজুল, শানুর, ইকরাম সংঘবদ্ধভাবে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমার বৃদ্ধ পিতাসহ ভাইদের মারাত্বক আহত করে মোবাইল ফোন সহ নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে গেছে। তাদের হামলায় আহত আমার ভাই কায়েছ আহমদ এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
তবে অভিযোগ অস্বিকার করে ইউপি সদস্য সরুজ আলী বলেন- তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এ সময় আমি সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা চালিয়েছি। এখানে আমি কোনো পক্ষ নই।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিক বলেন,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি হাসপাতালে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।