আমরা যুদ্ধজাহাজ তৈরির কাজ শুরু করেছি – প্রধানমন্ত্রী

8
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রামের নেভাল একাডেমী প্রান্তে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান ২০১৮ আলফা এবং ডিইও ২০২০ ব্রাভো ব্যাচের শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল নবীন নৌ কর্মকর্তাদের সালাম নেন।

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আগামীতে নিজস্ব শিপইয়ার্ডে যুদ্ধজাহাজ তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘প্রথমবার সরকারে আসার পর খুলনা শিপইয়ার্ড নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিই। এছাড়া, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের ডকইয়ার্ড নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিই। লক্ষ্য হলো, আমাদের নিজস্ব শিপইয়ার্ডে আমরা যুদ্ধজাহাজও তৈরি করবো। যার কাজ ইতোমধ্যে আমরা কিছু কিছু শুরুও করেছি। তাছাড়া কক্সবাজারের পেকুয়ায় আমরা সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণ করছি।’
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিএনএ’তে অনুষ্ঠিত নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান ২০১৮ আলফা এবং ডিইও ২০২০ ব্রাভো ব্যাচের শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তুলতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, ‘নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার জন্য ইতোমধ্যে নৌবাহিনীতে মোট ২৭টি যুদ্ধজাহাজ সংযোজন করেছি। ২০১৭ সালে আমরা নৌবহরে দুটি অত্যাধুনিক সাবমেরিন সংযোজন করি। ফলে, আমরা বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি পূর্ণ ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছি। নৌবাহিনীতে অ্যাভিয়েশন সিস্টেম থেকে শুরু করে সবকিছু করে দিয়েছি। পাশাপাশি আমাদের প্রশিক্ষণটাকে আরও উন্নত করার জন্য “বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স” নির্মাণ করে দিই।’ নৌবাহিনী সদস্যদের আবাসন সমস্যা দূর করার জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না, শান্তি চায়। কিন্তু আমাদের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যেন সব ধরনের উদ্যোগ ও প্রশিক্ষণ থাকে, সেভাবে আমরা আমাদের প্রতিটি বাহিনীকে গড়ে তুলছি। আমরা আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে, আত্মমর্যাদা নিয়ে বাস করতে চাই। আমরা অন্য কারও ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। অন্য কেউ আমাদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুক তাও আমরা সহ্য করবো না। আমরা এই নীতিতেই বিশ্বাসী।’
সমুদ্রসম্পদকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সরকারের উদ্যোগের কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের রয়েছে বিশাল সমুদ্রসীমা। এর সম্পদটা যেন আমাদের নিজস্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করতে পারি সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ দেশের বিভিন্ন প্রয়োজনে নৌবাহিনী সদস্যদের সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। নবীন অফিসারদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার আদর্শ মেনে চলবেন। তিনি জাতির জন্য সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন।’
অনুষ্ঠানে কৃতী প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে পুরস্কার তুলে দেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল।