চাল নিয়ে প্যাঁচালি

13

ভরা মৌসুমে চালের দাম নিয়ে ব্যবসায়ীরা নানা প্যাঁচের সৃষ্টি করেছে, ধান-চাল আহরণের সময়ে চালের দাম বাড়িয়ে নববর্ষের প্রারম্ভেই প্রতারণার মাধ্যমে ফায়দা আদায়ের বর্ষ বরণ করতে যাচ্ছে। ফলে ক্রেতা সাধারণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।
চলতি মৌসুমে ধানের উৎপাদন ভাল হলে ও ধান সংগ্রহের মুহূর্তে ধানের বাজার একটি চক্র সিন্ডিকেট করে দাম নিয়ে ব্যবসায়ী চক্র প্যাঁচালি শুরু করেছে। মাঠ থেকে বাজার পর্যন্ত কোনো প্রকার নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী চক্র তাদের অবৈধ পন্থা চালিয়ে যাচ্ছে। যা সাধারণ মানুষের অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকার সামিল।
আমাদের দেশের এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ীরা সব সময় সুযোগ খোঁজে থাকে, তারা একটু সুযোগ পেলে তাদের অবৈধ পন্থায় ফায়দা আদায়ের সাথে জড়িয়ে পড়ে। এসব ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময়ে জোট বেঁধে একটি সিন্ডিকেটে রূপ নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে সাধারণ মানুষের পকেট কাটার পথ করে নেয়। এদের অপকর্মতৎপরতা শুধু চাল নিয়ে নয়, মানুষের নিত্য-পণ্যের ব্যাপারে ও করেছে।
শুধু চাল নয়, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, আলুসহ সবধরনের পণ্যের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের ভোক্তা অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অপতৎপরতা অহরহ চালিয়ে গেলে ও তাদের অপকর্ম রোধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা লঘু হওয়ায় তাদের অপকর্ম শুধু বৃদ্ধিই পাচ্ছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে; সারাদেশে চালের চাহিদা প্রায় তিন কোটি টনের মতো হলে ও বোরো মৌসুমে চালের উৎপাদন হয় দু’কোটি আড়াই লক্ষ টন। এখন চলছে আমন ধানের মৌসুমের সময়ে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যে এক কোটি চুয়ান্ন লক্ষ টন। এ বছর চাল উৎপাদনের লক্ষ্যের মাত্রা বাড়িয়ে যাবে। সুতরাং দেশে ধান-চালের সঙ্কট হওয়ার কথা নয়। তাদের মতে কোথায় যেন চাল নিয়ে কারসাজি হচ্ছে, তলিয়ে দেখা দরকার।
এদিকে দেশে অসাধু ব্যবসায়ী চক্র ফড়িয়ার মাধ্যমে ধানের মাঠ থেকে ধান সংগ্রহ করে তাদের চাহিদার চেয়ে অধিক ধান মজুদ করছে, এ চক্র মিল মালিকদের সাথে জোট করে ক্রেতা সাধারণের অধিকার বঞ্চিত করছে। এদের বিরুদ্ধে আইনি কোনো ব্যবস্থা নেই বলেই চলে।
ধান-চালের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টিকারিদেরকে খোঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করা খুবই জরুরী বলে ভোক্তারা মনে করেন।