সিলেট প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ ॥ সুনাম নষ্ট করতে ভাগ্নের পরিবার নিয়ে মিথ্যাচার করছেন সৎ মামা

9
সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের উমদারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সামছুল আলম।

স্টাফ রিপোর্টার :
বিমানবন্দর স্টোন ক্রাশার মালিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সদর উপজেলার উমদারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সামছুল আলমের পরিবারের সুনাম নষ্ট করতে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন তারই সৎ মামা আবুল কালাম আজাদ। আবুল কালাম গত ২৯ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করেছেন।
বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ী সামছুল আলম। তিনি সংবাদ সম্মেলনে তার পরিবারকে নিয়ে করা মিথ্যাচারের জবাবও দিয়েছেন। একই সাথে এলাকার জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে মানহানীকর বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে আবুল কালাম আজাদকে বিরত থাকার অনুরোধও করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের উমদারপাড়া গ্রামের ইছরাক আলীর পুত্র সামছুল আলম বলেন, ‘আবুল কালাম আজাদের সাথে তার কিংবা তার পরিবারের কারো ব্যবসায়ীক অংশিদারিত্ব নেই। ৮ম শ্রেণিতে পড়ালেখাকালীন সময়ে আজাদকে তাদের (সামছুল) প্রতিষ্ঠান এইচ এম মারজান এন্টারপ্রাইজে কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। প্রায় ১০ বছর আগে তাকে দুবাই পাঠানোও হয়েছিল। সেখানে যাওয়ার ৫ বছর পর সে নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরে।’
সামছুল আলম বলেন, ‘দেশে ফেরার পর আজাদ বেকার ছিলেন। আমি তখন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে শয্যাশায়ী হওয়ায় আমার অনুরোধেই তাকে আমার ছোট ভাই ফখরুল ইসলামের ‘আশার আলো’ নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। আর সেই সুযোগেই সে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়। অথচ সংবাদ সম্মেলনে সে নিজেকে ফখরুলের অংশীদার হিসেবে দাবি করেছে; যা সম্পূর্ণ ভুয়া।’
সংবাদ সম্মেলনে সামছুল আরও উল্লেখ করেন, ‘তার নানা মরহুম মকবুল মিয়ার প্রকৃত উত্তরাধীকারী হলেন তার মা মোছা. জয়তুন নেছা, মামা আব্দুস সালাম এবং সৎ মামা আবুল কালাম আজাদ। নানা জীবিত থাকাবস্থায় ২০০৩ সালে ৫ একর ১০ শতক জমি আবু শহিদ জুন্নুন মজুমদার, শুয়েব মজুমদার ও আব্দুল মালিক মজুমদারের নিকট থেকে ক্রয় করেন। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুর পর ২০০৭ সালে মামা আব্দুস সালাম নিজে একক মালিক সেজে ওই দলিলের আলোকে একটি জাল দলিল তৈরি করেন। পরবর্তীতে তা প্রকাশ পেলে আপোষনামার মাধ্যমে নানার প্রকৃত উত্তরাধিকারী হিসেবে আমার মা, মামা ও সৎ মামার নামে পর্চা বের করি। এ থেকেই মূলত মামাদের সাথে আমাদের মনমালিন্যের সৃষ্টি হয়। তারা চাইছিলেন আমার মাকে বঞ্চিত করে সম্পত্তি গ্রাস করতে। এ সুযোগ না পেয়ে সৎ আবুল কালাম আজাদ তার বড় ভাই আব্দুস সালামের প্ররোচণায় আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন।’
তিনি আরও দাবি করেন, ‘স্টোন ক্রাশার মালিক সমিতির সভাপতি থাকাকালে প্রতিমাসেই তিনি সাউথইস্ট ব্যাংকের সাথে বড় অঙ্কের লেনদেন করতাম। একপর্যায়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাকে মর্গেজ দিতে বলে। পরে আমি দুই কিয়ার ভূমি বন্ধক হিসেবে ব্যাংকে প্রয়োজনীয় কাগজাদি জমা দেই। উক্ত ভূমি আমার বাবা পাওয়ার অব এটর্নির মাধ্যমে আমাকে একক মালিকানা দান করেন। যা আমার পরিবারের সকলেই অবগত। এখানে জালিয়াতির কোনো আশ্রয় নেইনি। আমার চাচা আজমল মিয়ার নিকট আমাদের পরিবারের কেউ কখনো কোনোরকম ভূমি বিক্রি করেননি। কিন্তু ভাটোয়ারা নিয়ে তার সাথে আমাদের দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে।’ আবুল কালাম আজাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দিলোয়ার হোসেনকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাও সম্পূর্ণ মানহানীকর। চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধানের জন্য তাকে বিভিন্ন সময়ে ডাকলেও তিনি তাতে সাড়া দেননি। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান রায় প্রদান করেন। এ রায় প্রদান করার কারণেই তারা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মানহানীকর বক্তব্য প্রদান করেছেন ’।