মৌলভীবাজারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জেলা পুুলিশের ‘মাস্ক সপ্তাহ’ চালু

6

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় “ঝুকি নেয়ার দরকার নেই, মাস্ক ছাড়া গতি নাই” এই শ্লোগান নিয়ে ‘মাস্ক সপ্তাহ’ শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার ২৬ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় শহরের চৌমুহনা এলাকায় র‌্যালী শেষে উক্ত কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ। জেলা শহরের ৩টি স্থান সহ মোট ৩০ স্থানে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মঞ্চ করেছে পুলিশ। যারা মাস্ক পরিধান করেননি পুলিশ তাদের ওই মঞ্চে নিয়ে মাস্ক পড়ার পক্ষে শপথবাক্য পাঠ করানোর পর মাস্ক পরিধান করে দিচ্ছে। পৃথক ভাবে যারা যারা মাস্ক পরিধান করেছেন তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। যানবাহনে করোনাকালে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য নানা শ্লোগান যুক্ত স্টিকার লাগানো হয়।
পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে উৎকন্ঠা, ভয় শেষ না হতেই সেকেন্ড ওয়েভ বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের কথা উঠছে। কেবল পশ্চিমা দেশেই নয়, বাংলাদেশেও দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
উনিশ শতকের গোড়ার দিকে স্পানিশ ফ্লুর মোট তিনটি ঢেউ বা ওয়েভ দেখা গিয়েছিল। এর মধ্যে দ্বিতীয় ঢেউটা ছিল প্রথমটির তুলনায় মারাত্মক। তাই পুরোপুরি নিশ্চিত বসে থাকার কোনো উপায় নেই। ইতোমধ্যে বিশে^র বিভিন্ন দেশে নতুন করে সংক্রমণের হার বাড়ছে। ওইসব দেশ আবার কঠোর লকডাউনের কথা ভাবছে। বাংলাদেশেও সংক্রমণ আকস্মিক হারে বাড়ছে।
এই রকম সংক্রমেণর হাত থেকে রক্ষা পেতে জেলা পুলিশ, মৌলভীবাজার পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ মাস্ক সপ্তাহ চালু করেছে। জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ মঞ্চ থেকে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। জেলার বিভিন্ন স্থানে একযোগে চেকপোষ্ট স্থাপন করা হয়েছে, যাদের মাস্ক থাকবে না তাদের মাস্ক পড়ার শপথ করানো হবে, প্রাথমিকভাবে মাস্ক সরবরাহ করা হবে, মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিরুৎসাহিত করা হবে। পরবর্তীতে ক্রমাদ্বয় আরো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
‘মাস্ক সপ্তাহ’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছিনুল হক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) পরিমল দে, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) বদিউজ্জামান, পৌর কাউন্সিলর মনবির রায় মঞ্জু, ফয়ছল আহমদ, নারী কাউন্সিলর শ্যামলী পুরকায়েস্ত সহ অন্যন্যরা।
এ ছাড়াও পৃথক ভাবে জেলা প্রশাসনের প্রতিদিনের মতো সংক্রামক আইন প্রয়োগে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে।