জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাথে সিলেট চেম্বার নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় ॥ সিলেটে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হলে দুই দেশের উদ্যোক্তাগণ লাভবান হবেন

4

২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার অনলাইন ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে জাপানের রাষ্ট্রদূত মিঃ ইটো নাওকি’র সাথে সিলেট চেম্বার এর নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মোঃ শোয়েব এবং সভাটি সঞ্চালনা করেন সিলেট চেম্বারের পরিচালক ফখর উস সালেহীন নাহিয়ান। সভায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইটো নাওকি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের দক্ষ পরিচালনায় বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের পর সিলেট অঞ্চল বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এখানে বর্তমানে বিনিয়োগের অনেকগুলো দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। তিনি সিলেট স্পেশাল ইকোনমিক জোন ও বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, জাপান-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে সিলেটে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হলে দুই দেশের উদ্যোক্তাগণ লাভবান হবেন। তিনি বলেন, বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপান যথাসম্ভব সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তিনি সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সিলেট চেম্বারের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদলকে জাপান সফরের আহবান জানান। এছাড়াও আগামীতে সিলেট সফরে আসলে সিলেট চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে সরাসরি মতবিনিময়ের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বার সভাপতি আবু তাহের মোঃ শোয়েব বলেন, প্রধামন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বহির্বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের একটি আন্তরিক সম্পর্ক স্থাপনে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেন, প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদের অফুরন্ত ভান্ডার। এখানে শিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয় জ্বালানী গ্যাস, তেল, জমি, পুঁজি সবই বিদ্যমান রয়েছে। তাছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক থেকেও সিলেটের অবস্থান অত্যন্ত সুবিধাজনক। শিল্প, বাণিজ্য, পর্যটন ও আইটি খাতে সিলেটের অপার সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে বর্তমান সরকার সিলেটে স্পেশাল ইকোনমিক জোন, হাই-টেক পার্ক, মাল্টি সেক্টরাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক সহ অনেকগুলো সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বিশেষ করে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য সিলেটকে একটি আদর্শ বিনিয়োগের স্থান হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি জাপানের বিনিয়োগকারীদের সিলেটের আইটি, শিল্প, পর্যটন, শিক্ষা ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগের আহবান জানান।
আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা জাইকা’র চীফ রিপ্রেজেনটেটিভ ইয়োহো হায়াকাওয়া এবং জেট্রো’র কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইয়োজি আনডো বলেন, সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি স্বনামধন্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যা বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। তারা জাপানের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন এবং ভবিষ্যতে সিলেট চেম্বারের সাথে মতবিনিময়ের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়াও সভায় বক্তাগণ সিলেটের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাত নিয়ে আলোচনা করেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইঞ্জিঃ এম. ইকবাল, মাউন্ট এডোরা হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ কে. এম. আকতারুজ্জামান, জাইকা’র চীফ রিপ্রেজেনটেটিভ ইয়োহো হায়াকাওয়া, জেট্রো’র কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইয়োজি আনডো, সিলেট চেম্বারের পরিচালক পিন্টু চক্রবর্তী, মুশফিক জায়গীরদার, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, খন্দকার ইসরার আহমদ রকী, আলীম ইন্ডাস্ট্রি’র প্রতিনিধি সাদ শাম্স প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি