শীতের আগেই করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে পশ্চিমা দেশগুলো

13

কাজিরবাজার ডেস্ক :
শীতের আগেই নাগরিকদের ভ্যাকসিন দিতে তোড়জোড় শুরু করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। শীতে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করে। সঙ্গত কারণে যে করেই হোক শীতের আগে তৃতীয় ধাপের ট্রায়েল শেষ না হলেও ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হতে পারে। তবে শুরুতে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে। এরপর অন্য নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে। রাশিয়া সাম্প্রতিক সময়ে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগে সবার আগে একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করে। দেশটি নিজেদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন বছর শেষ হওয়ার আগেই তাদের দেশের নাগরিকদের মাঝে সরবরাহ করতে চায়। অন্যদিকে ইউরোপীয় দেশগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনের ওপর নির্ভর করছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের বাজারজাতকারী কোম্পানি এ্যাস্ট্রেজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করেছে। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১ নভেম্বর থেকে আমেরিকায় ভ্যাকসিন প্রয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। এজন্য একটি রূপরেখা তৈরি করে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে দেশটি। ইউরোপ, আমেরিকা এবং রাশিয়ার এই উদ্যোগে মনে করা হচ্ছে শীত জেঁকে বসার আগেই ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে দেশগুলোতে।
শীতে পশ্চিমা দেশগুলোতে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নিচে নেমে যায়। গত বছরের শুরুর দিকে উহানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর পশ্চিমা বিশ্বে কাছাকাছি সময়ে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। করোনার প্রভাবে দেশগুলো ভয়ঙ্কর এক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। সাধারণত ডিসেম্বর থেকে শীতের প্রকোপ শুরু হয়। শীতকাল তিন মাসের হলেও পশ্চিমা দেশগুলোতে অন্তত পাঁচ মাস শীতের প্রভাব থাকে। করোনাভাইরাসে বিশ্বে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় গত ১৭ এপ্রিল। ওইদিন আট হাজার ৫০২ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেন। এখন প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় হাজার মানুষ বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর বিশ্বে একদিনে পাঁচ হাজার ৯০৩ জন ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
শীতে পরিবহন এবং অন্যসব জায়গায় বদ্ধভাবে চলাফেরা করতে হয়। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়। আবার শীতে ঠাণ্ডা এলার্জি এবং ফুঁসফুঁসের সংক্রমণ বেড়ে যায়। কোভিড-১৯ ভাইরাস ফুসফুসকেই আক্রান্ত করে ফলে শীত এগিয়ে আসায় ভয় বাড়ছে। দেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ওই সময় থেকেই গ্রীষ্মকাল শুরু হয়েছ। সঙ্গত কারণে ভাইরাস শীতে কি আচরণ করবে তা এখনও অজানা।