সিলেটের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সুদৃষ্টি

11

সিলেট জেলার সিটি ও পৌর সভার সড়ক সমূহ সহ গ্রামীণ সড়ক সমূহের বেহাল অবস্থা।
আধ্যাত্মিক রাজধানী হিসাবে খ্যাত সিলেট নগরী যেমন কাদা-মাটির ছড়াছড়িতে ভরপুর, তেমনি সিলেটের প্রতিটি পৌর সভার সড়ক সমূহ সহ পৌর সভার সাথে যোগাযোগকারী সড়ক সমূহের বেহাল অবস্থা। এসব সড়ক সমূহ দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন সহ পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সাম্প্রতিক বন্যায় ও অব্যাহত বৃষ্টিপাতের ফলে সিলেট- তামাবিল, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, সিলেট-জকিগঞ্জ, সিলেট-বিয়ানীবাজার, বড়লেখা, কুলাউড়াসহ প্রতিটি সড়কের পাকা পিচ উঠে গিয়ে অসংখ্যক গর্তে ভরপুর হয়ে ভগ্নদশা। এসব সড়ক গুলোর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘতম সড়ক জকিগঞ্জ সড়ক যে সড়কটি বৃটিশ আমলে তৈরি ট্রাক রোড হিসাবে খ্যাত ছিল। যে সড়ক দিয়ে অতীতে আসামের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল। ১৯৭৩ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময়ে বাংলার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্থানীয় আওয়ামী লীগের আয়োজিত স্কুল মাঠের বিশাল জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন, এ সময় সিলেটের সাথে একমাত্র সড়কটি দিয়ে যোগাযোগের দূর্গতির কথা উল্লেখ করে প্রস্তাবিত জকিগঞ্জ মহকুমাসহ অন্যান্য ন্যায্য দাবির প্রতি পূর্ণ মাত্রায় সমর্থন দিয়েছিলেন এবং সে সময় থেকে সড়কটি প্রশস্থ করণের কাজ শুরু হয়। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশনেত্রী শেখ হাসিনার সময়ে সড়কটির সকল ব্রীজ-কালভার্ট সম্পূর্ণ হয়। এ ছাড়াও দীর্ঘতম সড়ক তামাবিল ও বিয়ানীবাজার সড়কের কাজ হয়। এ সড়কগুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভগ্নদশা।
এছাড়াও সিটি কর্পোরেশন, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, কানাইঘাট পৌরসভা সহ প্রতিটি এলাকার সড়কের বেহাল অবস্থা, এসব সড়ক মহাসড়কের সংস্কার কজের কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। ফলে জনসাধারণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
সিলেটের রেমিটেন্সসহ প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস, তেল, পাথর-বালুর দ্বারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কাজে বিশেষ অবদানসহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাই সিলেট জেলার সর্বাধিক উন্নয়ন ক্ষেত্রে সুদৃষ্টি কামনা করছেন সিলেটবাসী।