মসলার মূল্য বাড়ছে

18

পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে এক ধরনের মুনাফা লিপ্সু ব্যবসায়ী সকল প্রকার মসলার মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। বছরে একবার মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব যাকে কোরবানীর ঈদ বলা হয়ে থাকে। এ দিন মুসলমান সমাজের সর্বস্তরের মানুষ কোরবানীর মাংস খেতে গরম মসলার প্রয়োজন। কিন্তু এ মাংস খেতে অতিরিক্র মূল্য দিয়ে মসলা ক্রয় করতে হয়। অথচ ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে মসলার বাজার সহজলভ্য না হয়ে, বাড়তি মূল্য দিয়ে মসলা ক্রয় করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
দেশের সাধারণ মানুষ গত চার মাস যাবত মহামারি করোনা ভাইরাস আর গত কয়েক সপ্তাহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যায় বন্দি অবস্থায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। এ দুর্ভোগের মধ্যে ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা কোরবানীর ঈদে সুযোগ-সন্ধানী মুনাফা-লোভী এক ধরনের ব্যবসায়ী সব-ধরনের মসলার মূল্য বাড়িয়ে ক্রেতা সাধারণের সাথে প্রতারণা করছে। এদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
আমাদের দেশের কতিপয় ব্যবসায়ী কোন-ধরনের উৎসবকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের মুনাফা আদায় করতে দ্বিধা বোধ করে না। অনেকে ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে সারা বছরের মুনাফা করে নেয়। যা কোন বিবেকবান মানুষ মেনে নেবে না।
সম্প্রতি কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে দেশের এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী যে কোন ধরনের অজুহাত দেখিয়ে বাজারকে চড়া করেছে। এসব অজুহাতকারীদেরকে ধরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা খুবই প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন।
বর্তমানে মসলা জাতীয় পণ্যের আমদানী যথেষ্ট থাকলে ও এক ধরনের কুচক্রি ব্যবসায়ীরা তাদের অসৎ উদ্দেশ্য সফলে স্বাভাবিক বাজারকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। এর প্রেক্ষিতে মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে পিঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, লবঙ্গ, দারুচিনি, জিরা, ধনিয়া, শুকনো মরিচ, গুলমরিচসহ সকল প্রকার মসলা জাতীয় পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে ক্রেতা সাধারণের সাথে প্রতারণা করছে।
দেশের ক্রান্তিলগ্নে এ সব অসাধু সুবিধাবাদি সুযোগ-সন্ধানী, অর্থ লিপ্সু অভিশপ্ত জালেমদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে বিজ্ঞ মহল মনে করেন।