তৎপর মৌসুমী অপরাধীরা

9

কোরবানীর ঈদকে টার্গেট করে মৌসুমী অপরাধীরা তৎপর হয়ে উঠছে। বিশেষ করে কোরবানীর হাটকে টার্গেট করে এ সব অপরাধীরা সক্রিয় হয়ে উঠে। এ সব মৌসুমী অপরাধীদের মধ্যে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি, রাস্তাঘাটে ছিনতাইকারী ও চুরি-ডাকাতি সহ জাল টাকা প্রচারকারীদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। ফলে কোরবানীর বাজারে দেশ-দেশান্তর থেকে আগত পশু ব্যবসায়ীরা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এসব মৌসুমী অপরাধীদের অপতৎপরতা রোধে সরকারকে উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হলে এ মহামারি করোনা আর বন্যা দুর্গত মানুষের আর্তনাতের মুহূর্তে এ সব মৌসুমী অপরাধীদের হাতে নাজেহাল হলে দুর্গতির শেষ থাকবে না।
প্রতি বছর ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহার সময়ে এ সব মৌসুমী অপরাধীদের অপতৎপরতা রাজধানী থেকে শুরু করে বিভাগীয়, জেলা-উপজেলা শহর, উপ-শহর, গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজার সমূহের অলিতে-গলিতে এ সব চোর-ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের বিচরণ ঘটে। এ ছাড়া বিভিন্ন সড়ক সমূহে মলম ও অজ্ঞান পার্টির অপতৎপরতা যেন বৃদ্ধি না হয়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হলে জন-দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাবে।
ঈদের মৌসুমে বিভিন্ন পশুর হাট-বাজারে জাল টাকা পাচারকারীদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এদের অপতৎপরতার কারণে হাট-বাজারের আগত ক্রেতা-বিক্রেতা প্রতারিত হওয়ার ঘটনা কম ঘটেনি। প্রতি বছরের ঈদ মৌসুমে জাল টাকা পাচারকারীদের হাতে প্রতারিত হওয়ার ঘটনা কম হয়নি। প্রতিবছর জাল টাকা প্রস্তুতকারক ও পাচারকারী আটক হলেও এদের অপতৎপরতা বন্ধ করার বাস্তবভিত্তিক কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ ছাড়াও এদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
সম্প্রতি বিয়ানীবাজারের পৌর শহরের সুপাতলা এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন হাজার টাকার জাল নোটসহ দু’টাকা পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। এদের বাড়ী মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার বাদ্দেশাসন গ্রামের মৃত আলা উদ্দিনের ছেলে আমিন হোসেন (২৩) ও একই উপজেলার উত্তর মাগুরা গ্রাসের মৃত হাসান আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৮)। এদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে টাকা জালকারী চক্রকে আটক করা প্রয়োজন বলে বিজ্ঞ মহলের প্রত্যাশা।
দেশের এ ক্রান্তি লগ্নে এ সব টাকা জালকারীদের অপতৎরতা চিরতরে বন্ধে কার্যকারী ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া কোন বিকল্প পথ নেই। তাই মহামারি করোনা ও বন্যায় দেশের মানুষ বিপর্যস্ত জীবন যাপন করছে, এ মুহূর্তে শহরাঞ্চল সহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পশুর হাটে পেশাদার অপরাধীদের অপরাধ দমনে কার্যকারী পদক্ষেপ নেয়া খুবই জরুরী।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে পেশাদার অপরাধকারীদের দমনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এগিয়ে আসবেন বলে সচেতন মহল মনে করেন।