দক্ষিণ সুরমায় দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত, আহত অর্ধশতাধিক, পুলিশের গুলিবর্ষণ

24

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার এলাকায় জমির সীমানা নিয়ে দু’পক্ষের ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এক বৃদ্ধ নিহত ও অনন্ত উভয়পক্ষের অত্যন্ত অর্ধশত আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে নেগাল গ্রামের একটি মাঠে এই ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৬ রাউন্ড শর্ট গানের কার্তুজ নিক্ষেপ করে এবং ঘটনাস্থল থেকে উভয় পক্ষের ১১ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে আটককৃতদের নাম পরিচয় দেয়নি পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন।
নিহত বৃদ্ধের নাম- চেরাগ আলী (৫২)। তিনি মোগলাবাজার থানার নেগাল গ্রামের মৃত আরিজ উল্লাহ’র পুত্র। তবে তাৎক্ষনিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা য়ায়নি। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নেগাল গ্রামের হাওরের জমির আইল কাটার সীমানা নিয়ে একই গ্রামের মানিক মিয়া ও সৈয়দুর রহমানের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল সকালে এই বিষয়টি নিয়ে তাদের দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে মোগলাবাজার থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী দফায় দফায় চলা সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৬ রাউন্ড শর্ট গানের কার্তুজ নিক্ষেপ করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এ সময় ঘটনাস্থল থেকে উভয়পক্ষের ১১ জনকে আটক করে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত মানিক মিয়ার আত্মীয় চেরাগ আলীকে স্থানীয় লোকজন দ্রুত উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে কতব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে নেগাল গ্রামে তমতমে অবস্থা বিরাজ করে। সেখানে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নেগাল গ্রামের জমির আইল কাটার সীমানা নিয়ে একই গ্রামের মানিক মিয়া ও সৈয়দুর রহমানের মধ্যে রিরোধ ছিল। সে বিরোধ মীমাংসা না হওয়াতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ভয়াবহ এ সংঘর্ষ থামাতে ৬ রাউন্ড শর্ট গানের কার্তুজ নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এসময় উভয়পক্ষের ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মানিক মিয়ার পক্ষের আত্মীয় চেরাগ আলী নামের একজন মারা যান। নিহত চেরাগ আলীর লাশ ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহতদের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।