সীমিত পরিসরে হযরত শাহজালাল (রহ.) লাকড়ি তোড়া উৎসব পালন

52

স্টাফ রিপোর্টার :
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে এবার হযরত শাহজালাল (রহ.) লাকড়িতোড়া উৎসব পালন করা হয়েছে। প্রতি বছর শাওয়াল মাসের ২৬ তারিখ এ উৎসব পালন করা হয়। গতকাল শুক্রবার জুম’আর নামাজের পর শাহজালাল (রহ.) এর ভক্ত ও অনুরাগীরা মিলে লাক্কাতুরা ও মালনীছড়া চা বাগানের টিলা থেকে লাকড়ি সংগ্রহ করেন। তারা এসময় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজনও করেন।
জানা গেছে, হযরত শাহজালাল জীবিত থাকা অবস্থায় টিলা থেকে লাকড়ি সংগ্রহ করে রান্না করা হতো। তিনি মারা যাওয়ার পর ভক্ত-অনুরাগীরা সেই প্রথা ধরে রেখেছেন। দরগাহের বার্ষিক ওরসের ৩ সপ্তাহ আগে লাকড়ি সংগ্রহ করে সেই সংগৃহিত লাকড়ি দিয়ে ওরসের সময় শিরণি রান্না করা হয়।
শাহজালাল (রহ.) মাজারের খাদেম সামুন মাহমুদ খান বলেন, এবার মহামারি করোনার কারণে একেবারে সীমিত আকারে লাকড়িতোড়া উৎসব পালন করা হয়েছে। এবার আগাম কোনো প্রচারণা বা কাউকে দাওয়াতও দেয়া হয়নি। তারপরও কিছু ভক্ত-অনুরাগী নিজ উদ্যোগে লাকড়ি সংগ্রহ করেছেন, মাজারে এসেছেন।
এ ব্যাপারে হযরত শাহলালাল (রহ.) ৩৬০ আউলিয়া ভক্ত-বৃন্দ পরিষদের সেক্রেটারী ও বাংলাদেশ মাজার ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শেখ মো: মকন মিয়া জানান, গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে শাহজালাল (রহ.) এর ভক্ত ও অনুরাগীরা মিলে লাক্কাতুরা ও মালনীছড়া চা বাগানের টিলা থেকে লাকড়ি সংগ্রহ করি। তিনি বলেন, এ সময় টিলার উপরে বিশ্বে মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে মানুষ মুক্তি পাওয়ার জন্য এক বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে বিকেল ৩ টার দিকে পুনরায় মাজারে ফিরে আসা হয়েছে। তবে এবার করোনা ভাইরাসে কারণে লাকড়ীতোড়া উৎসবে ভক্ত-অনুরাগীদের উপস্থিতি ছিল কম।
উল্লেখ্য, ৭০৩ হিজরির এই দিনে হজরত শাহজালাল (রহ.) তার সঙ্গীদের নিয়ে জোহরের নামাজ আদায় শেষে কুড়াল হাতে পাহাড়-টিলাবেষ্টিত (বর্তমান লাক্কাতুরা চা-বাগানের নির্ধারিত টিলা) উত্তর প্রান্তের গভীর জঙ্গলের দিকে যেতে থাকেন। সঙ্গীরা তাকে অনুসরণ করতে থাকেন। তিনি নিজ হাতে লাকড়ি সংগ্রহ করেন। পরে সেই জায়গার নাম হয় লাকড়ি তোড়ার (ভাঙা) টিলা। যা বর্তমানে লাক্কাতুরা চা-বাগান নামেই প্রসিদ্ধ।