শ্রীমঙ্গলে মা ও মেয়ে খুনের রহস্য উদঘাটন

7
আটক আজগর আলী।

শ্রীমঙ্গল থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নে মা ও মেয়ে খুনের ঘটনায় একমাত্র আসামী আজগর আলী খুনের ঘটনা স্বীকার করেছেন বলে দাবি থানা পুলিশ। পারিবারিক কলহের কারণে এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
রবিবার (৭ জুন) মৌলভীবাজার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে এই হত্যার স্বীকারোক্তি দেয়।
আসামী আজগর আলী (৩৫) খুন হওয়া ইয়াসমিন আক্তারের স্বামী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীমঙ্গল থানার ওসি তদন্ত মো. সোহেল রানা।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি তদন্ত মো.সোহেল রানা বলেন, মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার) সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল -কমলগঞ্জ সার্কেল) মো. আশরাফুজ্জামানের সহযোগিতায় খুনের ঘটনার পরদিন শনিবার রাতে আসামীর নিজ এলাকা সিন্দুরখান ইউনিয়নের তালতলা থেকে প্রধান আসামী আজগর আলীকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামী আজগর আলী খুনের বর্ণনা দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় পারিবারিক বিরোধের জেরে সে বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের পেছনে বেড়া ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে মা ও মেয়েকে চোলায় ফুক দিয়ে আগুন জালানোর লোহার চুঙ্গা (পাইপ) দিয়ে প্রথমে শাশুড়ি ঘুমন্ত অবস্থায় জায়েদা বেগমকে বুকে ঘা দেয়। পরে স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারকে ঘা দিয়ে খুন করে। তিনি আরও বলেন, আজঘর ৮/৯ বছর ইয়াসমিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘরে দুই সন্তানও রয়েছে।
দেড়বছর ধরে তার স্ত্রীকে আটকে রেখেছিল শাশুড়ি। আর ছেলে সন্তান তার কাছে থাকতো। এনিয়ে মৌলভীবাজার আদালতে আজগর মামলাও করেছেন। এনিয়ে সে ক্ষিপ্ত হয়ে শাশুড়ি ও স্ত্রীকে হত্যা করে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৫ জুন) শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের জামসী এলাকায় একই ঘরে মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন মা জায়েদা বেগম ওপরে চিনি বেগম (৫৫) ও মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার (২৫)।
ওই জেসমিন বেগম বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় আজগর আলীকে হত্যা মামলা রুজু করে। এর পর পর আসামী আজগরকে গ্রেফতার করে পুলিশ