ইউএস ওপেনের স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে চিন্তিত জোকোভিচ

5

স্পোর্টস ডেস্ক :
বিশ্বের এক নম্বর তারকা নোভাক জোকোভিচ মনে করেন, ইউএস ওপেনের খেলার জন্য যে ধরনের কঠোর স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা মেনে স্বাভাবিকভাবে একজন খেলোয়াড়ের অংশ নেয়া একেবারেই অসম্ভব।
করোনা মহামারীর কারণে এ বছর নিউইয়র্কে বছরের এই চতুর্থ ও শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম আয়োজন নিয়েই শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। জোকোভিচ স্বীকার করেছেন, আয়োজকদের দাবিকৃত নির্দেশনাগুলো সকলের ওপরই বাড়তি চাপ ফেলবে।
সার্বিয়ান ৩৩ বছর বয়সী এই তারকা বলেছেন, ‘আমি বিশ্ব টেনিসের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে টেলিফোনে আলাপ করেছি। সেখানে মৌসুম চালিয়ে নেবার ব্যপারে কথা হয়েছে। বেশীরভাগই মত দিয়েছেন আগস্টের শেষে ইউএস ওপেন আয়োজনের ব্যপারে তারা আশাবাদী। কিন্তু এখনো তারা এই আয়োজন নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত নন। যে ধরনের বিধি নিষেধের কথা তারা আমাকে জানিয়েছেন তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। তবে এর মধ্যে খেলাটা সত্যিই কঠিন।’
২০১১, ২০১৫ ও ২০১৮ সালে ইউএস ওপেনের শিরোপা জিতেছিল জোকোভিচ। তিনি আরো বলেছেন, ‘আমাদের হয়ত ম্যানহাটনে যাবার কোন অনুমতি থাকবে না, বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হোটেলে গিয়ে ঘুমিয়ে থাকতে হবে, প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। এমনকি ম্যাচে আমরা শুধুমাত্র একজনকে নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারবো যা সত্যিই অসম্ভব। একটি ম্যাচে আমাদের কোচ, ফিটনেস ট্রেনার এমনকি সাইকোথেরাপিস্টের প্রয়োজন হয়। তাদের সকলের পরামর্শ একটি ম্যাচে খুবই জরুরি। কিন্তু এসব কিছু থেকে বেরিয়ে আসাটা সত্যিই কঠিন। বুঝতে পারছি না আসলেই কি হতে যাচ্ছে।’
ইউএস ওপেনের বিধি নিষেধ নিয়ে প্রায় একই ধরনের অনুভূতি মাত্র একদিন আগেই প্রকাশ করেছিলেন বিশ্বের দুই নম্বর তারকা রাফায়েল নাদাল। গত বছর ক্যারিয়ারের চতুর্থ ইউএস ওপেন জয় করেছিলেন নাদাল। আগামী ৩১ আগষ্ট থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ইউএস ওপেন। নাদাল বলেছেন নির্ধারিত সময়ে যদি এই গ্র্যান্ড স্ল্যাম শুরু হয় তবে হয়ত তিনি অংশ নাও নিতে পারেন। এক ভিডিও কনফারেন্সে নাদাল বলেছেন, ‘সকল খেলোয়াড়দের জন্য স্বাস্থ্য নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই গ্র্যান্ড স্ল্যামে খেলা উচিত না। যেখান থেকেই খেলোয়াড়রা খেলতে আসুক না কেন তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তাটা জরুরি। আজ আমাকে কেউ ইউএস ওপেন খেলতে বললে আমি বলবো ‘না’। তবে কয়েক মাস পরে হলে হয়ত খেলতে রাজী হবো। সকলের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার অপেক্ষায় আমাদের থাকতে হবে।’
করোনার কারণে মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের টেনিস ট্যুর। জুলাইয়ের শেষ নাগাদ টেনিস কোর্টে ফিরতে পারে বলে ইঙ্গিত রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথমবারের মত বাতিল হয়ে গেছে উইম্বলডন। ফ্রেঞ্চ ওপেন মে-জুন থেকে সড়িয়ে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে নেয়া হয়েছে।