শামসুদ্দিন হাসপাতালে করোনাযোদ্ধাদের ৫০০ পিপিই দিলো এফআইসিসিআই

9
দ্য ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি (এফআইসিসিআই)’র পক্ষ থেকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের অধীক্ষক ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউনুছুর রহমানের হাতে হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সদের জন্য পিপিই তুলে দিচ্ছেন বারাকা গ্র“পের চেয়ারম্যান ফয়সল আহমদ চৌধুরী।

সিলেটে করোনা চিকিৎসায় বিশেষায়িত শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সদের জন্য উচ্চমানের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) স্যুট দিয়েছে বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)।
সোমবার এফআইসিসিআই’র পক্ষ থেকে বারাকা গ্র“পের চেয়ারম্যান ফয়সল আহমদ চৌধুরী এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে হাসপাতালের অধীক্ষক ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউনুছুর রহমানের হাতে এসব পিপিই হস্তান্তর করেন।
এ সময় নেফ্রোলজি বিভাগের কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাজমুস সাকিব, শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.সুশান্ত কুমার মহাপাত্র, বারাকা গ্র“পের এমডি গোলাম রাব্বানী চৌধুরী, বারাকা গ্র“পের পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের ডিএমডি মনজুর কাদির শাফি (এলিম) সিলেট অফিসের সিনিয়র ব্যবস্থাপনা জনসংযোগ শাব্বির আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
পরে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউনুছুর রহমান ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এফআইসিসিআই সহানুভূতি নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মানুষের সেবার জন্য তারা পিপিই প্রদান করেছেন, তা আমরা আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেছি। এতে করোনা রোগীদের সেবা প্রদানে সহায়ক হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, সিলেটে বেসরকারি পর্যায়ে করোনা চিকিৎসা শুরু কবে হবে এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে এ নিয়ে মিটিং হয়েছিল, আলাপ আলোচনা হয়েছে। প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, এই লেভেলে তারা চিন্তাভাবনা করছেন। আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি। তাছাড়া সরকারের নির্দেশনা রয়েছেই।’
শামসুদ্দিন হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় কোন অসুবিধা হচ্ছেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সক্ষমতা অর্জন করেছি। এ হাসপাতালে ১১ বেডের আইসিইউ ও ১০০ রোগীর চিকিৎসা করার সক্ষমতা রয়েছে। আমাদের টিম তিন মাস ধরে কাজ করে অনেক আত্মবিশ্বাসী। তারা যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করেছে। তাদের সাহসের কোন কমতি নেই। কয়েকজন চিকিৎসক-নার্স আক্রান্ত হয়েছে। তারা সবাই ভালো হয়ে গেছেন, একজন মারা গেছেন। আমরা ভালো আছি, মনোবল উচ্চ আছে। ধৈর্য সহকারে কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে স্যাম্পল কালেকশনের লোড বেশি। এতজনের একসাথে সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য আরও পিসিআর মেশিন দরকার। হবিগঞ্জেও যেন একটি মেশিন দেয়া হয় সেজন্য তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধও করেছেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি পিসিআর মেশিন এখন প্রয়োজন।