আরও ১৪ দিন লকডাউন বাড়ালো ভারত সরকার

9
NEW DELHI, INDIA - MARCH 22: Indian policemen push barricades to place them in the center of a a road leading to historic India Gate, during a one-day nationwide Janata (civil) curfew imposed as a preventive measure against the COVID-19 on March 22, 2020 in New Delhi, India. Death toll due to coronavirus in India reached seven on Sunday with three more fatalities as the country observed a "janta curfew" or public lockdown on the appeal of Prime Minister Narendara Modi. Besides placing under lockdown till March 31st, 75 districts with confirmed coronavirus cases , the government also decided to shut down train, metro and inter-state services to curb the spread of the global pandemic in India. (Photo by Yawar Nazir/Getty Images)

কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত আবারও বাড়িয়েছে লকডাউনের মেয়াদ। তৃতীয় দফায় আরও ১৪ দিনের জন্য লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত ২৫ মার্চ থেকে ভারতে লকডাউন চলছে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরিস্থিতি এখন যে রকম, তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হল বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জানানো হয়েছে। এই ১৪ দিনে কোন কোন ক্ষেত্রে কী ধরনের কার্যকলাপ চলবে অথবা চলবে না, তা নিয়েও কেন্দ্র এ দিন নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। গ্রিন জোন এবং অরেঞ্জ জোনে অনেক বিধিনিষেধই শিথিল করার পথে হাঁটছে কেন্দ্র।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করেন অমিত শাহ-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের সঙ্গে। সেই বৈঠকেই করোনা পরিস্থিতি এবং লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে পর্যালোচনা হয়। তার পরে সন্ধ্যা নাগাদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েল পক্ষ থেকে প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়।
একনজরে নতুন সিদ্ধান্তগুলো
যে সব জেলায় কেউ সংক্রামিত হননি অথবা গত ২১ দিনে কারও টেস্টিং রিপোর্ট পজিটিভ হয়নি, সেই সব জেলাকে গ্রিন জোন ধরা হবে।
কোন কোন জেলাকে রেড জোন হিসেবে ধরা হবে, তা নির্ধারণ করা হবে ওই জেলায় চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সময়সীমা, টেস্টিংয়ের পরিমাণ এবং নজরদারি থেকে আসা রিপোর্টের ভিত্তিতে।
যে জেলাগুলো গ্রিন বা রেড জোনের মধ্যে পড়ছে না, সেগুলোকে অরেঞ্জ জোন ধরা হবে।
গ্রিন, রেড এবং অরেঞ্জ জোনে কোন কোন জেলাকে রাখা হচ্ছে, তা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক প্রতি সপ্তাহে রাজ্য এবং কেন্দ্রীশাসিত অঞ্চলগুলিকে জানিয়ে দেবে।
রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি চাইলে রেড বা অরেঞ্জ জোনের তালিকায় জেলার সংখ্যা বাড়াতে পারবে। কিন্তু কেন্দ্রের দেওয়া রেড বা অরেঞ্জ জোনের তালিকা তারা ছাঁটতে পারবে না।
ভারতে নিহত ১১৪৭, আক্রান্ত ৩৫ হাজার : এদিকে ভারতে করোনাভাইরাস মহামারিতে নতুন করে ৭২ জনসহ শুক্রবার পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ১৪৭ জন এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৪৩ জনে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ কথা জানায়।
মোট আক্রান্তদের মধ্যে আট হাজার ৮৮৮ জন করোনামুক্ত হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন এবং আক্রান্তদের ১১১ জন বিদেশি নাগরিক।
মন্ত্রণালয় জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে এ পর্যন্ত নতুন করে মারা যাওয়া ৭২ জনের মধ্যে ২৭ জন মহারাষ্ট্রে, ১৭ জন গুজরাটে, ১১ জন পশ্চিমবঙ্গে, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে সাতজন করে এবং দিল্লিতে তিনজন মারা গেছেন।
মোট মৃত এক হাজার ১৪৭ জনের মধ্যে মহারাষ্ট্রে ৪৫৯ জন, গুজরাটে ২১৪ জন, মধ্যপ্রদেশে ১৩৭ জন, দিল্লিতে ৫৯ জন, রাজস্থানে ৫৮ জন, উত্তর প্রদেশে ৩৯ জন, পশ্চিমবঙ্গে ৩৩ জন এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ৩১ জন।