নবীগঞ্জে অস্তিত্ব সঙ্কটে কেজি স্কুল

12

নবীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
উপজেলার মানুষের মৌলিক অধিকার ৫টি। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে শিক্ষা। সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় ২ মাস যাবত বন্ধ। বিশেষ করে কেজি স্কুলগুলো পড়েছে হুমকির মুখে। একদিকে ঘর ভাড়া, অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য ব্যয় সঙ্কুলান করতে এক কঠিন যাতাকলের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার চাপ। করোনা ভাইরাস কোভিট-১৯ এর কারণে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আয়ও সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। স্কুল খুলতে যত বিলম্ব হবে, ততই অর্থনৈতি চাপের মুখে পড়বে মালিক পক্ষ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নবীগনজ উপজেলায় শতাধিক কেজি স্কুল রয়েছে। কিন্তু বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাসের উদ্ভব পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সরকারের নির্দেশনার আলোকে কেজি স্কুল গুলোও প্রায় ২ মাস যাবত বন্ধ রয়েছে। সরকার প্রধানের ভাষ্যমতে স্কুল প্রতিষ্ঠান খুলতে অন্তত পক্ষে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। মোদ্দা কথা যতক্ষণ না পর্যন্ত পরিবেশ স্বাভাবিক হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার কোন সুযোগ নাই। এ ক্ষেত্রে এসব প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে! পরিবেশ স্বাভাবিক হলেও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বন্ধ থাকার বেতনও যে দিবে না তা এক প্রকার নিশ্চিত। এছাড়া পুরাতন অনেক শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়বে এবং নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি অনেক কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঘর ভাড়া, বিদ্যুৎবিল হবে অনেক টাকা।
অন্যদিকে শিক্ষকদের বেতনও দিতে হতে পারে। অনেক স্কুলই এ পর্যন্ত শিক্ষকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করেননি।
এ ব্যাপারে বিশিষ্ট আইনজীবি জানান, সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বেতন পূর্ব থেকেই বরাদ্ধ থাকে। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন। তবে কেজি স্কুল কর্তৃপক্ষের ফান্ডে যদি টাকা থাকে তাহলে অবশ্য শিক্ষকদের বেতন পরিশোধ করা উচিৎ। আর ফান্ডে টাকা না থাকলেও শিক্ষকদের মানবিক দিক বিবেচনা করে বেতনের একটি অংশ দেওয়া অবশ্যই দরকার বলে আমি মনে করি। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকরাও স্কুলের প্রতি সদয় দৃষ্টি রাখতে হবে।
কিন্ডার গার্ডেনের প্রধান শিক্ষক জানান, প্রতিষ্ঠান খুললেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বন্ধ থাকা সময়ের বেতন নেওয়া যাবে না। অন্যদিকে মানবিক দিক বিবেচনা করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন দিতে হবে। এ পর্যায়ে কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে আমাদের।
নবীগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, কেজি স্কুলগুলো যেহেতু প্রাইভেট, সেহেতু সরকারের পক্ষ থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোন ধরণের বেতন বা ভাতা দেওয়ার নিয়ম নেই। ইচ্ছা করলে বিশেষ বিবেচনায় প্রণোদনার আওতায় এনে তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করতে পারেন সরকার। এটা সরকারের এখতিয়ার। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের উচিৎ এ দুঃসময়ে তাদের বেতন দিয়ে দেওয়া।