গ্রীণ কার্ড দেয়া বন্ধে বিলে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

13

কাজিরবাজার ডেস্ক :
‘মার্কিন কর্মীদের রক্ষায়’ অভিবাসীদের গ্রিন কার্ড দেওয়া আপাতত বন্ধ রাখার বিলে সই করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ গ্রিন কার্ড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের অধিকার নিশ্চিত করে৷ এর ফলে কী হবে? চলুন জেনে নেই৷
কারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চাচ্ছেন এমন বৈধ অভিবাসীরাই শুধুমাত্র এই নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন হবেন৷ গ্রিন কার্ডধারীরা যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজ করতে পারেন৷ এর ফলে একসময় মার্কিন নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করাও তাদের জন্য সহজ হয়৷
২০১৯ অর্থবছরে দশ লাখের মতো গ্রিন কার্ড ইস্যু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যার অর্ধেকের মতো মার্কিন নাগরিকদের নিকট আত্মীয়স্বজন৷
কারা আওতামুক্ত থাকবেন?
ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন যে তার নির্দেশনা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি এবং এতে কিছুক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও রাখা হবে৷ তবে, তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি৷ যদিও এই নির্দেশনার কারণে নতুন গ্রিন কার্ড দেয়া বন্ধ রাখবে দেশটির সরকার, কিন্তু যারা ইতোমধ্যে চাকুরি ও গ্রিন কার্ড পেয়েছেন, কিন্তু এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাননি, তাদের ক্ষেত্রে কী হবে সেটা এখনো নিশ্চিত নয়৷
তবে, ক্ষণস্থায়ী কর্মী, পর্যটক, ব্যবসায়িক কাজে ভ্রমণকারী, অস্থায়ী ভিসায় কাজ করা প্রশিক্ষিত কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না৷ ট্রাম্প অবশ্য বলেছেন অভিবাসন সংক্রান্ত আরো কিছু নির্দেশনা পরবর্তীতে দেয়া হবে৷
ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশ কি আইনসম্মত?
২০১৭ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর বেশ কয়েকবার অভিবাসীদের উপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প৷ ২০১৮ সালে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে বলেছে যে, নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে মনে করলে বিদেশি নাগরিকদের সুনির্দিষ্ট কিছু গ্রুপকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ থেকে বিরত রাখতে পারেন ট্রাম্প৷
দেশটির ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট ১৯৬৫’ অনুসারেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর মনে হলে যেকোনো বিদেশিকে দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে পারেন প্রেসিডেন্ট৷ তবে ট্রাম্পের এ ধরনের সিদ্ধান্ত অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিতর্ক সৃষ্টি করে এবং শেষমেষ তা আদালত অবধি গড়ায়৷
অতীতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিকে সামনে এনে নিজের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা বুঝিয়েছেন ট্রাম্প৷